ছবি: সংগৃহীত।
এত দিন ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের ড্রোনের জন্য রেজিস্ট্রেশন বা নথিভুক্তির দরকার হত না। কিন্তু এ বার দেশের সব ড্রোনকেই নজরদারির আওতায় আনতে চাইছে বিমান মন্ত্রক। তাই যাঁর কাছে ড্রোন থাকবে, তাঁকেই রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। অন্যথায় এক হাজার টাকা জরিমানা এবং ছ’মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে।
নথিভুক্তি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে সব ড্রোন-মালিককে যোগাযোগ করতে বলেছে কেন্দ্র। এতে ড্রোন এবং তার অপারেটরকে দু’টি আইডেন্টিটি নম্বর দেওয়া হবে। বিমান মন্ত্রক জানিয়েছে, যাঁরা এই নিয়ম মানবেন না, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যাঁরা নিজের এবং ড্রোনের রেজিস্ট্রেশন করাবেন না, তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
ডিজিসিএ ২০১৮ সালের ২৭ অগস্ট যে-নিয়ম করেছিল, তাতে ছোট ছোট ড্রোনকে ছাড় দেওয়া হয়। বড় ড্রোনের ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। পরে দেখা যায়, অনেকে ছোট ছোট ড্রোন কিনে ব্যবহার করছেন। বহু বিয়ে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে ড্রোন দিয়ে ছবি তোলার প্রবণতা বেড়েছে। সন্ধ্যার অন্ধকার আকাশে ড্রোনের বিচরণ বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিমান মন্ত্রক। বিমানবন্দরের চার পাশে পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে ড্রোন ব্যবহারের উপরে যে-নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনেকেই ওড়াচ্ছেন ছোট ড্রোন। কেন্দ্রের কাছে নথি না-থাকায় সেই সব ড্রোনের মালিকদের ধরা যাচ্ছে না। তাই এ বার প্রতিটি ড্রোনের তথ্য রাখতে চায় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ধমক ক্ষুব্ধ অখিলেশের
ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করলে এ বার থেকে ‘অপারেটর অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর’ পাবেন আবেদনকারী। তার পরে নিজের ড্রোনের জন্যও একটি নম্বর নিয়ে ডিজিসিএ-র নিয়ম মেনে তাঁকে ড্রোন চালাতে হবে। দেশে কত ড্রোন রয়েছে, এই ব্যবস্থায় সেই বিষয়েও একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিমান মন্ত্রকের কর্তারা।