নেহাল মোদী। —ফাইল চিত্র।
ঋণ খেলাপে অভিযুক্ত রত্নব্যবসায়ী নীরব মোদীর ভাই নেহাল মোদীর বিরুদ্ধে এ বার রেড কর্নার নোটিস জারি করল ইন্টারপোল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অনুরোধেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে, বিশ্বের যে কোনও দেশে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে।
জন্মসূত্রে ভারতীয় নেহাল মোদী বেলজিয়ামের নাগরিক। নিউইয়র্কে বাস করেন তিনি। নীরব মোদীর বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থা ‘ফায়ারস্টার ডায়মন্ড আইএনসি’-র ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। গত বছর নীরব মোদীরা দেশ ছেড়ে পালানোর এক মাস পরই তাদের দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য মার্কিন আদালতে আবেদন করে ওই সংস্থা।
এ ছাড়াও ‘ইথাকা ট্রাস্ট’ নামের আর একটি সংস্থার সঙ্গে নেহাল মোদী যুক্ত ছিলেন বলে দাবি ইডি-র তদন্তকারীদের। তাঁদের দাবি, পঞ্জাব ব্যাঙ্কের ঋণের টাকায় ওই সংস্থার মাধ্যমে দাদার জন্য সম্পত্তি কিনে রাখতেন তিনি। পঞ্জাব ব্যাঙ্ক দুর্নীতি কাণ্ডের চার্জশিটেও তাঁর নাম রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, হংকং, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, আমেরিকা, বার্বাডোজ-সহ আরও বিভিন্ন জায়গায় যে ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে ঘুরপথে ঋণের টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত প্রমাণ লোপাট এবং নীরব মোদীদের দেশ ছেড়ে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগও রয়েছে নেহাল মোদীর বিরুদ্ধে।
রেড কর্নার নোটিস জারি করল ইন্টারপোল। ছবি: সংগৃহীত।
আরও পড়ুন: বিচার মমতা পেলেন না, নাকি আমি? ২৯ বছর পর আক্ষেপ লালুর
পঞ্জাব ব্যাঙ্ক কাণ্ডে ১৪ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত নীরব মোদী এই মুহূর্তে লন্ডনে জেলবন্দি। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যে একাধিকবার জামিনের আর্জিও জানালেও, প্রতিবারই তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। লন্ডন রয়্যাল কোর্টের বিচারপতি ইনগ্রিড সিমলারের মতে, জামিন পেলে সেখান থেকেও পালিয়ে যেতে পারেন নীরব মোদী।
আরও পড়ুন: বৌবাজার কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ নিতে গেলে এ বার মেট্রোকে মুচলেকা দিতে হবে ঘরছাড়াদের
ভুয়ো লেটার অব আন্ডারটেকিং (এলওইউ) দেখিয়ে সবমিলিয়ে মোট ১৪ হাজার কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোক্সির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার আগেই গত বছর জানুয়ারি মাসে দেশ ছাড়েন তাঁরা। সেই থেকে তাঁদের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। প্রতারণার টাকা উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই নীরব মোদীর সংস্থার মূল্যবান গয়না বেচে ৫ হাজার ৬০০ কোটি উদ্ধার করেছে ইডি। দেশের অন্দরে এবং দুবাইয়ে তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সে গুলি নিলামে তোলার চেষ্টা চলছে।