বুধ-সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ডাক পড়ল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি। কোনও ঘোষণা নয়। অনুরোধ, ‘গাড়ি থেকে লালবাতি সরানো হচ্ছে। দয়া করে ছবিটি তুলুন’।
বিকেল থেকে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে রাজধানীর মন্ত্রী মহলে। কে আগে গাড়ি থেকে লালবাতি খুলেছেন— সেটা গণমাধ্যমে চোখে পড়ুক প্রধানমন্ত্রীর। তার কয়েক ঘণ্টা আগে দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল, পুলিশের মতো জরুরি পরিষেবা ছাড়া আর কোনও ভিআইপি ১ মে থেকে গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-আমলা, বিচারপতি— কেউ নন। তাঁর কথায়, ‘‘সব ভারতীয়ই স্পেশ্যাল, সব ভারতীয়ই ভিআইপি। এই সংস্কৃতি আগেই তুলে দেওয়া উচিত ছিল।’’ রাজ্য সরকারগুলির হাতে লাল-নীল বাতি ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারির কোনও অধিকার থাকছে না।
এ রাজ্যের মন্ত্রী-আমলারা অবশ্য ‘তড়িঘড়ি’ কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। এ রাজ্যে লালবাতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে পরিবহণ দফতর। দফতরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এ দিন বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কোনও নির্দেশ আসেনি। এলে তা মানা হবে। তবে এ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তো অনেক দিন ধরেই গাড়িতে কোনও ‘বেকন আলো’ ব্যবহার করেন না।’’
আরও পড়ুন: রেহাই পেলেন না আডবাণী
মাসখানেক আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হয়েই ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ তাঁর রাজ্যে লালবাতি রেওয়াজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, মোদী তিন বছর সময় নিলেন এই চটকদার রাজনীতি করতে। এখন তিনি প্রতীকী রাজনীতি করছেন। বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নিজে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর চলার পথে যাতে কারও হেনস্থা না হয়, তা নিশ্চিত করতে।