এনপি প্রজাপতি। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ইমেল মারফত পদত্যাগপত্র পাঠালেই চলবে না। বরং তাঁর মুখোমুখি হতে হবে বিদ্রোহী বিধায়কদের। ক্ষমতাদখল নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের টানাপড়েনের মধ্যে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার এনপি প্রজাপতি।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়ার পরেই মঙ্গলবার তাঁর অনুগামী কংগ্রেসের ২১ বিদ্রোহী বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। ই-মেলের মাধ্যমে নিজেদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার এনপি প্রজাপতিকে।
তা নিয়ে বুধবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন প্রজাপতি। তিনি বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী, প্রথমে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে হয়। জানাতে হয় যাবতীয় অভাব-অভিযোগের কথা। সবকিছু খতিয়ে দেখার পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন স্পিকার।’’
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওই বিদ্রোহী বিধায়কদের ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্পিকার। ওই বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যে কমলনাথ সরকারের ছয় মন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁদের অপসারণ চেয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল লালজি টন্ডনকে চিঠি দিয়েছেন কমলনাথ। সে ব্যাপারেও এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।
তুলসী সিলাওয়াট, মহেন্দ্র সিংহ সিসৌদিয়া, ইমারতি দেবী, গোবিন্দ সিংহ রাজপুত, প্রভুরাম চৌধুরি এবং প্রদ্যুম্ন সিংহ তোমর—এই ছয় মন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি নিয়ে স্পিকারের কাছে আলাদা ভাবে ছ’টি আবেদনও জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জেপি ধনোপিয়া।
আরও পড়ুন: বিদ্রোহীদের ঘিরে নাটক দিনভর, অঙ্ক নিয়ে সংশয় মধ্যপ্রদেশে
২১ জন বিদ্রোহী বিধায়কের মধ্যে ১৯ জনকে সোমবার রাতেই চার্টার্ড বিমানে চাপিয়ে বেঙ্গালুরু পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনেই তা সম্পন্ন হয় বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। তবে ওই বিধায়কদের একটা বড় অংশই বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বেঁকে বসেছেন বলে জানা গিয়েছে।