Congress

দল যেন রাহুলের পুতুল-নাচ না হয়, শঙ্কা বিক্ষুব্ধদের

নতুন বছরের প্রথম দিনেই কংগ্রেস সূত্রে বলা হয়েছে, এআইসিসি-র অধিবেশন খুব শীঘ্রই ডাকা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:০৮
Share:

ছবি: পিটিআই।

রাহুল গাঁধী যতই অ-রাজি হন, তাঁর অনুগামীরা এখনও কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে ফের সভাপতি পদে বসাতে বদ্ধপরিকর।

Advertisement

নতুন বছরের প্রথম দিনেই কংগ্রেস সূত্রে বলা হয়েছে, এআইসিসি-র অধিবেশন খুব শীঘ্রই ডাকা হবে। সেখানেই নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত চাইছেন, তাঁর রাজ্যের জয়পুর বা উদয়পুরে এআইসিসি-র অধিবেশন বসুক। আর ‘টিম রাহুল’ তথা রাহুলের অনুগামীরা মনে করছেন, এআইসিসি-র অধিবেশনে রাহুলের উপর ফের দায়িত্ব নেওয়ার এমন প্রবল চাপ তৈরি হবে, যে তিনি না করতে পারবেন না।

এআইসিসি-তে রাহুল গাঁধীর আস্থাভাজন এক তরুণ সাংসদ বলেন, ‘‘আসলে রাহুলজি এখনও প্রবীণ নেতাদের উপরে অভিমান করে রয়েছেন। তাঁর অনুযোগ, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে তিনি নবীন-প্রবীণ ভেদাভেদ না করে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে লড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু সকলে তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। সেই নালিশ করেই তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এ কথাও বলেছেন, দল যে দায়িত্ব দেবে, তিনি পালন করতে তৈরি।’’

Advertisement

কংগ্রেস সদর দফতর সূত্রের খবর, দলের প্রবীণ নেতা মধুসূদন মিস্ত্রির নেতৃত্বে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ সভাপতি নির্বাচনের আগের প্রক্রিয়া প্রায় গুটিয়ে ফেলেছেন। সাধারণত কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে এআইসিসি, প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধি মিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজার কংগ্রেসের নেতা-কর্মী ভোট দেন। কিন্তু এ বার সভাপতি নির্বাচন হবে মাত্র দু’বছরের জন্য। তাই শুধুমাত্র হাজার খানেক এআইসিসি প্রতিনিধিই ভোট দেবেন। ২০২২-এর ডিসেম্বরে যখন পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হবে, তখন কংগ্রেসের সংবিধান মেনে এআইসিসি, প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা ভোট দেবেন।

এখানেই কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। তাঁদের শঙ্কা, রাহুল নিজে না সভাপতি হয়ে তাঁর আস্থাভাজন কাউকে সভাপতি করবেন। গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বলের মতো ২৩ জন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁদের মূল অভিযোগই হল, রাহুল অদৃশ্য থেকে দলকে হাতের পুতুলের মতো চালাতে চাইছেন। এক বিক্ষুব্ধ নেতা বলেন, ‘‘রাহুল নিজে সভাপতি নির্বাচনে দাঁড়ালে, কেউই তাঁর বিরোধিতা করবেন না। কিন্তু তিনি নিজে সভাপতি না হতে চাইলে, সভাপতি নির্বাচন যেন নিরপেক্ষ হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। রাহুল তাঁর কোনও প্রক্সি-কে সভাপতি নির্বাচনে দাঁড় করালে, তাঁকে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে।’’

বিক্ষুব্ধ নেতাদের পরিকল্পনা হল, এআইসিসি অধিবেশনের আগে থেকেই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতেও নির্বাচন করাতে হবে। অগস্টে ২৩ জন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতার ‘বিদ্রোহ’-র পরে সনিয়া গাঁধী সেপ্টেম্বরে ওয়ার্কিং কমিটিতে রদবদল করেছিলেন। তা সত্ত্বেও নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকছেন বিক্ষুব্ধরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement