রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।—ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে বাকি চারমাস। সংসদে বাজেট পেশ ফেব্রুয়ারির শুরুতে। তার একমাসের মধ্যেই, অর্থাৎ মার্চ মাসেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বাড়তি লভ্যাংশের ভাগ পেতে পারে মোদী সরকার। ৩০-৪০ হাজার কোটি টাকা ঢুকতে পারে সরকারি কোষাগারে। বিশ্বস্ত সূত্রে সোমবার এমনই তথ্য উঠে এল।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তাঁরা জানান, “মার্চের মধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বাড়তি সঞ্চয় থেকে ৩০ হাজার কোটির বেশি তুলে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত আমরা।” তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে ওই টাকা হাতে পেলে সরকারের সুবিধা হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তাঁদের দাবি, চলতি অর্থ বছরে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যার জেরে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা ঘাটতি দেখা দিয়েছে রাজকোষেও। লোকসভা নির্বাচনের আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বাড়তি সঞ্চয়ের টাকায় সেই ঘাটতি পূরণ করতে চায় সরকার।
আরও পড়ুন: বাতিল ধারায় গ্রেফতার সমাজকর্মীরা! কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন: ‘সিঙ্ঘম’ হতে গিয়ে বেকায়দায়, আলিপুরদুয়ারের ডিএম-কে ছুটিতে পাঠিয়ে দিল নবান্ন
এই বাড়তি টাকার ভাগ নিয়েই শীর্ষ ব্যাঙ্কের সঙ্গে এতদিন ঝামেলা চলছিল মোদী সরকারের। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসাবে রঘুরাম রাজনের মেয়াদ শেষ হলে, নিজেদের পছন্দের প্রার্থী উর্জিত পটেলকে ওই পদে বসায় কেন্দ্র। কিন্তু শীর্ষ ব্যাঙ্কের তহবিল থেকে টাকা দিতে রাজি হননি তিনিও। সরকারি হস্তক্ষেপের জেরে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন তিনি। তার পর গতমাসে ওই দায়িত্বে আনা হয় অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন আধিকারিক শক্তিকান্ত দাসকে।
তার পরই সরকারি দাবিদাওয়া পর্যালোচনা করে দেখতে বিশেষ কমিটি গড়া হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অরুণ জেটলি। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ওই কমিটি।