ছবি- পিটিআই
অপরিবর্তিতই থাকল রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের দেশ জুড়ে আঞ্চলিক লকডাউনের বিধ্বস্ত অর্থনীতি। ঘুরে দাঁড়াতে আরও কিছুটা সময় লেগে যাবে, এই আশঙ্কায় দ্বিতীয় আর্থিক নীতিতে রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। শুক্রবার মানিটারি পলিসি কমিটি বা আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটি (এমপিসি)-র তিন দিনের বৈঠকের পর গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ঘোষণা করেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, সেই হার অর্থাৎ রেপো রেট রয়েছে ৪ শতাংশ। অন্য দিকে, যে হারে ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধার নেয়, সেই রিভার্স রেপো রেট রয়েছে ৩.৩৫ শতাংশে।।
বাজারে নগদের জোগান এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই গত বছরে রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো কমিয়ে ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। তার পর থেকে তা টানা অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্র পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানিয়েছে, অতিমারির ধাক্কায় গত অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে ৭.৩ শতাংশ। শুক্রবার আরবিআই চলতি বছরের জন্য পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ৯.৫ শতাংশ। আগে চলতি বছরে ১০.৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল আরবিআই।
শাকসবজি, চাল, ডালের দাম কমায় খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪.২৯ শতাংশে, যা গত তিন মাসে সবচেয়ে কম। চলতি অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধির হার ২ থেকে ৬ শতাংশে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে আরবিআই। গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ বলেন, অতিমারির ধাক্কা সত্ত্বেও কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি অব্যাহত। স্বাভাবিক বর্ষার পূর্বাভাস এবং বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোই সাহায্যকে করবে ভারতের অর্থনীতিকে।