ইস্তফা দিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে আজই তিনি সরকারের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সরকারের কাছে পাঠানো ইস্তফাপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখানো হলেও তথ্যাভিজ্ঞ মহলের অনুমান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাজকর্মে ‘সরকারি হস্তক্ষেপ’ই এর কারণ। আরবিআই-এর তহবিলের একটা অংশ সরকারি কোষাগারে স্থানান্তরিত করার জন্য কিছু দিন ধরেই চাপ ছিল উর্জিতের উপর। তবে এর জন্য আরবিআই-এর নীতিগত কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। তবে সেই পরিবর্তনের পক্ষে সায় ছিল না উর্জিতের। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডে কেন্দ্র প্রভাবিত সদস্যদের একাংশ নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছিলেন। এই টানাপড়েনেই কার্যত উর্জিত সরে যেতে বাধ্য হলেন।
২০১৬-তে আরবিআই-এর গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন উর্জিত। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগে ইস্তফা দিয়ে একসঙ্গে অনেকগুলো প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিল ব্রিটেনের আদালত
উর্জিতের ইস্তফার পরই টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আমরা এক জন ভাল অর্থনীতিবিদের অভাব অনুভব করব।” টুইট করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। তিনি বলেন, “ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক জন গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর হিসেবে উর্জিত পটেলের ভূমিকা প্রশংসনীয়।”
উর্জিত পটেলের চিঠি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তে কেন্দ্র মোটেই খুশি ছিল না কেন্দ্র। বিশেষত অনাদায়ি ঋণের চাপে দুর্বল ব্যাঙ্কগুলির উপরে তারা যে ভাবে নানা রকম শর্ত আরোপ করেছে, তা নিয়ে। অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ বিলির উপরে বিধিনিষেধ জারি করা নিয়েও আপত্তি ছিল। ফলে এই নিয়েই একটা টানাপড়েন শুরু হয়েছিল কেন্দ্র-রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।
এই বিতর্কের মধ্যে কয়েক দিন আগেই প্রধানামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন উর্জিত। তখন মনেে করা হয়েছিল, সমস্যার দ্রুত সমাধান হতে চলেছে। কিন্তু এ দিন উর্জিত ইস্তফা দেওয়ায় কেন্দ্রের অস্বস্তি আরও আরও বাড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: এনডিএ-তে ফাটল, জোট এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা