twitter

Twitter: দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস নয়, আইনকে সম্মান করুক টুইটার, মন্তব্য রবিশঙ্কর প্রসাদের

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা গোপনীয়তার নিয়মকে সম্মান করি। কিন্তু কোথাও জঙ্গিহানা বা সমাজবিরোধী কাজ হলে তার তথ্য আমাদের দিতে হবে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২১ ১২:২৯
Share:

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। ফাইল চিত্র।

নয়া ডিজিটাল বিধি নিয়ে টুইটারের সঙ্গে সঙ্ঘাত জারি কেন্দ্রীয় সরকারের। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়ে দিলেন, ভারতের আইনকে সম্মান করতে হবে টুইটারকে। সেই সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস কেন্দ্রীয় সরকার করবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘এই নেটমাধ্যমগুলি ভারত থেকে প্রচুর মুনাফা পায়। এই মাধ্যমগুলিতেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের নিয়ে মস্করা করা হয়। আমরা সমালোচনাকে সম্মান করি। গণতান্ত্রিক দেশে কেউ সমালোচনা করতেই পারেন। কিন্তু দেশের আইন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমরা আপস করব না।’’

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমরা নেটমাধ্যমগুলির গোপনীয়তার নিয়মকে সম্মান করি। কিন্তু কোথাও জঙ্গিহানা বা সমাজবিরোধী কাজ হলে তার তথ্য আমাদের দিতে হবে। দেশের আইনকে সম্মান করা শিখতে হবে টুইটারকে।’’

Advertisement

গত বুধবার থেকে কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নজরদারি বিধি চালু হয়েছে। যার আওতায় নেটমাধ্যমে প্রকাশিত যাবতীয় লেখালেখি এবং ভিডিয়োর উৎস কেন্দ্রকে জানাতে বাধ্য থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সংস্থাগুলি। ওই বিধি মেনে সংশ্লিষ্ট নেটমাধ্যমগুলিকে এক জন ‘কমপ্লেনস অফিসার’ নিয়োগ করতে হবে। ওই ‘কমপ্লেনস অফিসার’কে ভারতের নাগরিক হতে হবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। যদিও টুইটারের তরফে এখনও প্রকাশ্যে নয়া ডিজিটাল বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়নি। বরং বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে ‘ভারতে বাক্‌স্বাধীনতা পরিস্থিতি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়েই কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাত শুরু হয়েছে টুইটারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement