পুরীর জগন্নাথ মন্দির —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বারের জন্য খুলল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডার। রবিবারের পর বৃহস্পতিবার ফের এক বার খোলা হয় রত্নভান্ডারের দরজা। ওড়িশা সরকার গঠিত কমিটির সদস্যেরা জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার পুজো দিয়ে সকালে প্রবেশ করেন মন্দিরের ভিতরের অংশে। ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক সকাল ৯টা ৫১ মিনিট। চলতি মাসে দ্বিতীয় বারের জন্য খুলল রত্নভান্ডার। পুরীর জগন্নাথ ধামের রত্নভান্ডারে দীর্ঘ দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয় না। এখনই মেরামতির কাজ না করলে, পরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই কারণে ৪৬ বছর পর গত রবিবার প্রথম বারের জন্য খোলা হয়েছিল রত্নভান্ডার। সে দিন বাইরের প্রকোষ্ঠ থেকে বিভিন্ন গহনা ও মূল্যবান সামগ্রী সরানো হয় স্ট্রং রুমে। এর পর বৃহস্পতিবার ছিল ভিতরের প্রকোষ্ঠ খালি করার পালা।
রত্নভান্ডারে প্রবেশের সময় কমিটির চেয়ারম্যান ওড়িশা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ পুরীর গজপতি মহারাজা দিব্য সিংহ দেবকেও সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। কী ভাবে রত্নভান্ডার থেকে মূল্যবান সামগ্রী সরানো হচ্ছে, তা তদারকি করার জন্য বলেন। পুরীর মহারাজ জানিয়েছেন, সন্ধের মধ্যেই ভিতরের প্রকোষ্ঠ থেকে সমস্ত মূল্যবান সামগ্রী স্ট্রং রুমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তার পর সেই স্ট্রং রুম সিল করে দেওয়া হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হবে। সব জিনিসপত্র রত্নভান্ডার থেকে সরানোর পর গহনা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রীর একটি তালিকা তৈরি করা হবে।
পুরীর রত্নভান্ডারের ভিতর প্রকোষ্ঠে শুধু মণিমানিক্য বা ‘পাহারাদার সাপ’ নিয়েই নয়, আরও বিভিন্ন ধরনের ‘গল্ককথা’ শোনা যায়। সেই তালিকায় রয়েছে ভিতর প্রকোষ্ঠের সুড়ঙ্গের কথাও। এত দিন পর যখন সেই ভিতর প্রকোষ্ঠ খোলা হল, তখন কি সেখানে কোনও সুড়ঙ্গের দর্শন মিলল? সে নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল পুরীর মহারাজকে। তবে এ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য এড়িয়ে তিনি জানান, ভিতর প্রকোষ্ঠ কী হালে রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া অত্যাধুনিক যন্ত্রাদি ব্যবহার করবে। তার পরই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে।
পুরীর কালেক্টর সিদ্ধার্থ শঙ্কর জানিয়েছেন, যদি বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে ভিতর প্রকোষ্ঠ ফাঁকা না হয়, তা হলে শুক্রবার বাকি কাজ করা হবে। গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।