প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসক, পুলিশ, সাফাইকর্মীদের মতো রেশনকর্মীদেরও কেন্দ্রীয় করোনা বিমার আওতায় আনা, করোনায় মৃত কর্মীদের শহিদের মর্যাদা এবং তাদের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলল অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইজ শপ ডিলারস ফেডারেশন।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান অসুস্থ। তাই সোমবার কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী দাদারাও দানভের সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পরে রেশন ডিলারস সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘লকডাউনেও দেশে রেশন দোকান খোলা থাকায় খাদ্যসঙ্কট হয়নি। কিন্তু সংক্রমণের আবহে দিন-রাত খাদ্যশস্য বিলি করতে গিয়ে দেশে ৩৫০ রেশনকর্মী করোনায় মারা যান। ১৯ জন পশ্চিমবঙ্গের।’’ করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা দিনরাত লড়াই করছেন, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সেই সব কর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার বিমা করেছে কেন্দ্র। বিশ্বম্ভরবাবুদের দাবি, দেশে যে কয়েক লক্ষ রেশন কর্মী রয়েছেন, তাঁদেরও বিমার আওতায় নিয়ে আসা হোক। বিমার ওই অর্থ মঞ্জুর হলে মৃতদের পরিবারের আর্থিক সমস্যা অনেকাংশে কমবে বলেই মত সংগঠনের।
কৃষি প্রতিমন্ত্রীর কাছে সংগঠনের অভিযোগ, রেশনে যে গম ও ছোলা সরবরাহ করা হচ্ছে তা যথেষ্ট নিম্নমানের। বিশ্বম্ভরবাবু বলেন, ‘‘পোকায় ভর্তি গম রেশনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী দু’মাস শুধু ছোলা দেওয়া হবে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উৎসবের মরসুমের কথা মাথায় রেখে মসুর ও মুগ ডাল দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।’’ একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ চলাকালীন বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপের মাধ্যমে রেশন সংগ্রহ করা বন্ধ রাখার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে সংগঠন।