ছবি: সংগৃহীত।
জামিনে ছাড়া পেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে আইনের এক ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তিনি। চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতারির প্রায় সাড়ে চার মাস পর সোমবার তাঁকে জামিন দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর বছর বাহাত্তরের চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। প্রাক্তন ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ একাধিক অভিযোগ করেছিলেন শাহজাহানপুরের ২৩ বছরের ওই ছাত্রী। যদিও প্রাক্তন বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া, হুমকি, জোর করে আটকে রাখা-সহ একাধিক অভিযোগ আনলেও ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেননি সিট-এর তদন্তকারীরা। যা নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে এই মামলার কথা প্রকাশ্যে আসে গত বছরের ২৩ অগস্টে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে শাহজাহানপুরের ওই ছাত্রীর দাবি ছিল, সাধু সমাজের এক শীর্ষ নেতা তাঁকে হেনস্থা করছে। এমনকি খুনেরও হুমকি দিচ্ছেন। যদিও সে সময় চিন্ময়ানন্দের নামোল্লেখ করেননি তিনি। ওই ভিডিয়ো পোস্টের পরের দিনই ‘উধাও’ হয়ে যান ছাত্রী।
আরও পড়ুন: অসমের ইতিহাসবিদকে এনআইএ-জিজ্ঞাসাবাদ, প্রতিবাদে চিঠি রামচন্দ্র গুহদের
সপ্তাহখানেক পর পুলিশ তাঁকে খুঁজে বার করলে ওই ছাত্রীর দাবি ছিল, চিন্ময়ানন্দের ভয়েই এক বন্ধুর সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন তিনি। এর পর চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করেন তিনি। চিন্ময়ানন্দের ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত শাহজাহানপুরের আইন কলেজেই পড়তেন ওই ছাত্রী। সে সময় তাঁর অভিযোগ ছিল, বছরখানেক আগে কলেজের হস্টেলে তাঁর স্নান করার ভিডিয়ো তুলে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ করেন চিন্ময়ানন্দ। এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নিয়মিত যৌন হেনস্থাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘দেশকে টুকরো টুকরো করতে চায় আপ-কংগ্রেস’, তোপ মোদীর
এই অভিযোগ সত্ত্বেও প্রাথমিক ভাবে পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগও করেন ওই ছাত্রী। অবশেষে গত সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে সিট-এর উপর তদন্তভার ন্যস্ত করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এক সময় চিন্ময়ানন্দের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্ল্যাকমেল করার জন্য গ্রেফতার করা হয় ওই তরুণীকে। তবে গত ডিসেম্বরে ছাড়া পান তিনি।