Baba Ramdev

ভুল করেছি, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে তৈরি, বললেন রামদেব! তবে এখনও রেহাই দিল না সুপ্রিম কোর্ট

পতঞ্জলি মামলায় স্বস্তি পেলেন না যোগগুরু রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত রামদেবের কৌঁসুলির উদ্দেশে বলেন, “উনি মোটেই নিরপরাধ নন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৭
Share:

বাবা রামদেব। —ফাইল চিত্র।

পতঞ্জলি মামলায় স্বস্তি পেলেন না যোগগুরু রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত রামদেবের কৌঁসুলির উদ্দেশে বলেন, “উনি মোটেই নিরপরাধ নন।” রামদেবের সংস্থার বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে যোগগুরুর ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের’ও সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

মঙ্গলবারের শুনানিতে অবশ্য নিজের ভুলের কথা কবুল করে নেন রামদেব। যোগগুরুর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তাঁর মাধ্যমে রামদেব বলেন, “আমি এ ক্ষেত্রে যা করেছি, তা ঠিক করিনি। আমি ভবিষ্যতে বিষয়টি মাথায় রাখব।” তার পরই যোগগুরু জানান, তিনি প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করতে প্রস্তুত।

তবে রামদেবের ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাবের পরেও তাঁকে রেহাই দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ জানায়, রামদেব ক্ষমা চাইলেও, তারা সেটিকে গ্রহণ করবে কি না, তা ভেবে দেখছে। এই প্রসঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, “আপনার পুরনো ইতিহাস খারাপ। আপনার ক্ষমাপ্রার্থনা আমরা গ্রহণ করব কি না, তা ভেবে দেখব।”

Advertisement

একই সঙ্গে বেঞ্চ রামদেবকে ভর্ৎসনা করে বলে, “আইন সকলের জন্য সমান। আপনি নিজেও ভাল করে জানতেন যে, যে রোগ সারে না, আপনি তা নিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না।” আগামী ২৩ এপ্রিল আবার এই মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

এর আগেও পতঞ্জলির ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন’ মামলায় আবার সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়েছিলেন রামদেব। গত ৯ এপ্রিল আদালতে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন রামদেব। তবে যোগগুরু এবং পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) আচার্য বালকৃষ্ণের ক্ষমাপ্রার্থনা মঞ্জুর না করে শীর্ষ আদালতের দুই সদস্যের বেঞ্চ বলে, ‘‘আমরা অন্ধ নই।” পুরো বিষয়টি নিয়ে আদালত ‘উদার হতে চায় না’ বলেও মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট এ-ও জানায়, পুরো বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবারও এই মামলায় রামদেবকে রেহাই দিল না শীর্ষ আদালত।

রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। আইএমএর অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল আইএমএর। গত বছরের নভেম্বরে মামলাটির শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement