রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। ছবি: পিটিআই।
মণিপুর-আঁচের মধ্যেই বৃহস্পতিবার আচমকা রাজ্যসভার অধিবেশন কক্ষে হাসির রোল উঠল। সৌজন্যে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে জবাব দিতে গিয়ে নিজের বিবাহিত জীবনের প্রসঙ্গ টানেন ধনখড়। বলেন, ‘‘আমি ৪৫ বছর ধরে বিবাহিত। কখনও রেগে যাই না।’’ যা শুনে হেসে ফেলেন সকলে।
মণিপুর নিয়ে শুরু থেকেই তেতে রয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন কক্ষ। ২৬৭ ধারার অধীনে মণিপুর নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ১৭৬ ধারার অধীনে সংক্ষিপ্ত আলোচনার কথা বলেন। এই নিয়েই তপ্ত হয়ে রাজ্যসভা। ধনখড়ের উদ্দেশে খড়্গে বলেন, ‘‘২৬৭ ধারার অধীনে আলোচনার জন্য কারণ থাকা দরকার। আমরা সেই কারণ জানিয়েছি আপনাকে। গতকালও আপনাকে এই নিয়ে অনুরোধ করেছিলাম। আপনি মনে হয় রেগে গিয়েছিলেন।’’ বিরোধী দলনেতার এ কথা শুনে হেসে ফেলেন ধনখড়। তার পরই বলেন, ‘‘৪৫ বছর ধরে আমি বিবাহিত। আমি কখনওই রাগ করি না।’’ রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এ কথা শুনে তখন সকলের মুখে হাসি।
এতেই থামেননি ধনখড়। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের নাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মিস্টার চিদম্বরমের মতো বিশিষ্ট আইনজীবীও এটা জানেন। আইনজীবীদের রাগ প্রকাশ করা উচিত নয়। আপনিও করবেন না স্যর।’’ ধনখড় এ-ও বলেন যে, অধিবেশন কক্ষে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি আলোচনা করতে পারেন না, কারণ তাঁর স্ত্রী রাজ্যসভার সদস্য নন। এর পরই রেগে যাওয়া নিয়ে তাঁর মন্তব্যটি সংশোধন করতে অনুরোধ করেন তিনি।
ধনখড়ের কথা শুনে পাল্টা খড়্গে বলেন, ‘‘আপনি কখনওই রাগ প্রকাশ করেন না। কিন্তু ভিতরে ভিতরে রেগে যান।’’ যা শুনে আবার হাসির রোল ওঠে রাজ্যসভায়।