অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
সংসদে দিল্লি বিল নিয়ে বিরোধী জোটের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অভিযোগ করলেন যে, দুর্নীতি ঢাকতেই ‘দিল্লি সার্ভিসেস বিল’-এর বিরোধিতা করছে বিরোধী দলগুলি। শাহের মন্তব্যের পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী দলগুলিও।
বৃহস্পতিবার সংসদে বিরোধী জোটকে আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দিল্লি নিয়ে ভাবুন, জোট নিয়ে নয়।” আপকে নিশানা করে ‘বাংলো দুর্নীতি’ নিয়েও সরব হন শাহ। বিরোধী দলগুলির উদ্দেশে তাঁর আর্জি, “সব বিষয়ে রাজনীতি টেনে আনবেন না।” শাহের মন্তব্যের সমালোচনা করে আপ সাংসদ সুশীল গুপ্তের বক্তব্য, দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, বিরোধী জোটকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই প্রসঙ্গে বিজেপির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি ভারতের রাজধানী। দিল্লিতে আমরা জিততে যাচ্ছি, তার মানে ‘ইন্ডিয়া’ জিতবে। দেশকে রক্ষা করার জন্য এই জোট। দেশের জন্য এই জোট। এনডিএ-র কোনও মূল্য নেই।’’
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ডেপুটি’ নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় ‘জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩’ পেশ করার পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ)-র সুশীলকুমার রিঙ্কু-সহ বিরোধী সাংসদেরা প্রতিবাদ শুরু করেন। বিলটিকে ‘গণতন্ত্রের পরিবর্তে বাবুতন্ত্রের সূচনা’ বলে বর্ণনা করেন তাঁরা। মোদী সরকারের ওই বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারাধীন। শীর্ষ আদালত গত মাসে জানিয়েছে, অর্ডিন্যান্সের সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে যাচাই করা হবে, এ বিষয়ে সংসদের অধিকারের সীমাও। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় বিল পেশ করায় মণিপুরকাণ্ডের জেরে উত্তপ্ত বাদল অধিবেশনে নতুন করে অশান্তি ছড়াতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।