রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত-সহ কংগ্রেসের প্রার্থী ও বিধায়কেরা। ছবি: পিটিআই।
টানটান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার দুপুরে শেষ হয়েছে চারটি রাজ্যে ১৬টি রাজ্যসভা আসনে ভোট। রাজস্থানে বিজেপি এবং কংগ্রেস দু’তরফেরই কয়েক জন বিধায়ক ক্রস ভোটিং করেছেন বলে অভিযোগ। অন্য দিকে কর্নাটকে এক জেডি(এস) বিধায়ক কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার দেশের ১৫টি রাজ্যে ৫৭টি আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন ১১ রাজ্যের ৪১ জন প্রার্থী। ফলে চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের ৬টি, রাজস্থানের ৪টি, কর্নাটকের ৪টি এবং হরিয়ানায় ২টি রাজ্যসভা আসন রয়েছে। ১৬টি আসনে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, নির্মলা সীতারামন ও পীযূষ গয়াল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা কর্নাটক এবং পীযূষ মহারাষ্ট্র থেকে লড়াইয়ে রয়েছেন।
চারটি আসনের মধ্যে বিজেপির একটি আসনে জয় নিশ্চিত। বাকি তিনটি আসনে দলীয় প্রার্থী রণদীপ সুরজেওয়ালা, মুকুল ওয়াসনিক ও প্রমোদ তিওয়ারির জয় নিশ্চিত বলে প্রাথমিক ভাবে ধরে নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু ঘনশ্যাম তিওয়ারির পরে মিডিয়া ব্যবসায়ী সুভাষ চন্দ্রের নাম ঘোষণা করে লড়াই ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ করে তুলেছে পদ্ম-শিবির। বিজেপি বিধায়ক শোভারানি কুশওয়াহা শুক্রবার কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, সুভাষের দাবি তিনি অন্তত চার জন কংগ্রেস বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন।
হরিয়ানার পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেবে জেতার জন্য অন্তত ৩১টি ভোট প্রয়োজন। প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের রয়েছে ৩১ জন বিধায়ক। কংগ্রেসের ‘ঘর’ ভাঙিয়ে জেতার জন্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষ্ণলাল পানওয়ারের পাশাপাশি কার্তিকেয় শর্মাকে নির্দল হিসেবে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। ফলে চাপের মুখে কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মাকেন।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস জোট সরকারের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ, নবাব মালিককে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করার পরে তাঁরা এখন জেল বন্দি। বৃহস্পতিবার ভোট দিতে চেয়ে তাঁদের জামিনের আবেদন আদালতে খারিজ হয়ে যায়। অন্য দিকে কর্নাটকের জেডি(এস) বিধায়ক শ্রীনিবাস গৌড়া কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।