—ফাইল চিত্র।
লোকসভার নেতা নরেন্দ্র মোদী। তবে অমিত শাহ থাকলেও উপনেতা করা হল রাজনাথ সিংহকেই।
বিজেপি আজ সংসদীয় দলের যে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করল, সে তালিকায় এই প্রথম বার থাকছেন না লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশীরা। কারণ, তাঁদের এ বারে লোকসভা ভোটে লড়তেই দেওয়া হয়নি। একই কারণে নেই সুষমা স্বরাজও। কিন্তু কয়েক দিন আগে মন্ত্রিসভার কমিটি গঠন করার সময়ে রাজনাথের ডানা ছেঁটে যে ভাবে অমিত শাহের গুরুত্ব বাড়ানো হচ্ছিল, আজ অন্তত তার কোনও পুনরাবৃত্তি ঘটেনি।
অরুণ জেটলির অনুপস্থিতিতে রাজ্যসভার নেতা হলেন থাওরচন্দ্র গহলৌত আর উপনেতা পীযূষ গয়াল। কোষাধ্যক্ষ মহারাষ্ট্রের সাংসদ গোপাল শেট্টি। বাংলার লকেট চট্টোপাধ্যায়কে সচেতক নিয়োগ করা হল মহিলা সাংসদদের দায়িত্ব দিয়ে। লকেটের পাশাপাশি আরও দুই মহিলা সাংসদ এই প্রথম বার এমন দায়িত্ব পেলেন।
আগামী কালই গোটা দেশ থেকে আসা পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের রূপরেখা কী হবে, তা স্থির হবে এই বৈঠকে। যদি এখনই তিনি কাউকে সর্বভারতীয় সভাপতি করতে চান, তা হলে সংসদীয় বোর্ডই সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ছ’মাসের মধ্যে দলের জাতীয় পরিষদে অনুমোদন করিয়ে নিলেই হল। দ্বিতীয় পথটি হল, দলের মন্ডল থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত ধাপে ধাপে অন্তত ৫০ শতাংশ নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটিয়ে তার পর জাতীয় সভাপতি নির্বাচন করা। সে ক্ষেত্রে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি দলের সভাপতি পদে থেকে যাবেন অমিত।
আজকের কমিটির বিন্যাস দেখে অবশ্য অনেকের ধারণা, আপাতত সভাপতি পদে থাকারই ইঙ্গিত মিলছে। সম্ভাব্য উত্তরসূরি জে পি নাড্ডাকে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য কিংবা ভূপেন্দ্র যাদবকে রাজ্যসভার সচিব করে আনা হয়েছে। অমিত শাহকে ‘জাতীয় সভাপতি’ হিসেবে রেখে লোকসভায় বাড়তি কোনও পদ দেওয়া হয়নি।
সংসদ ভবনে জেটলির ঘরটি দেওয়া হচ্ছে রাজ্যসভায় নতুন নেতা গহলৌতকে।
অমিত শাহ সংসদ ভবনের কোন ঘরে বসবেন? প্রধানমন্ত্রীর পাশের ঘরটিই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। যেখানে এত দিন রাজনাথ সিংহ বসতেন। অমিত কি সেখানে যাবেন নাকি আডবাণীর ছেড়ে যাওয়ার ঘরটিতে বসবেন? যেটি এক সময় বরাদ্দ ছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্য!
লোকসভার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নিয়েও ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। ডেপুটি স্পিকার পদটি নবীন কিংবা জগনের দলকে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। যদিও জগনের দল তা অস্বীকার করেছে।