হরিদ্বারে গঙ্গা আরতি রাহুল গান্ধীর। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে গলওয়ানের সংঘর্ষের স্মৃতি উস্কে দিয়ে জাতীয়তাবাদের তাস খেললেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে পাল্টা আক্রমণ করলেন রাজনাথ সিংহ।
গত ২০২০ সালের ১৫ জুন সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে গলওয়ানে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন ভারত ও চিনের সেনা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্র দাবি করে, ওই ঘটনায় চিনের অন্তত ৫০ জনের কাছাকাছি সেনা মারা যান। আজ উত্তরপ্রদেশের বলদেব এলাকায় ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে রাহুলকে আক্রমণ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল সংসদে দাবি করেছিলেন, ওই ঘটনায় মাত্র তিন জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রের দাবি অনুযায়ী, ওই ঘটনায় ৩৮-৫০ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছিল। আসলে রাহুল চিনে যে খবর প্রকাশিত হয়, তা-ই বিশ্বাস করেন। কোনও ধরনের সত্য অনুসন্ধান না করেই বেজিং যা বলে তা-ই বিশ্বাস করে নেন।’’
চলতি বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার উপর ধন্যবাদজ্ঞাপন বিতর্কে রাহুল দাবি করেছিলেন, চিন ও পাকিস্তানকে আলাদা করে রাখার প্রশ্নে ভারতের বিদেশনীতি ব্যর্থ হয়েছে। উভয় দেশের সঙ্গে নয়াদিল্লির বৈরিতার ফলে পাকিস্তান ও চিন এককাট্টা হয়েছে। যার ফলে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে বলে লোকসভায় দাবি করেন রাহুল। আজ রাজনাথ দাবি করেন, ভারতের সীমান্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
গলওয়ানে সংঘর্ষের পর থেকেই রাহুল তথা বিরোধী শিবির ভারতের হাতে থাকা লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা চিনের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগে সরব হন। সম্প্রতি সংসদেও রাহুল দাবি করেন, দু’বছর আগে হওয়া সংঘর্ষে বড় মাপের ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে চিনা সেনা। আজ সেই দাবি খারিজ করে রাজনাথ বলেন, ‘‘ভারতের কোনও জমি নতুন করে দখল করে নিতে পারেনি চিন।’’ উল্টে কংগ্রেস জমানায় কী ভাবে চিন এ দেশের বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে নিয়েছিল, তার ব্যাখ্যা দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাহুলকে ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে চাই। জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শক্সগাম উপত্যকা চিনকে দিয়ে দেয় ভারত। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরে কারাকোরাম হাইওয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এমনকি, ২০১৩ সালে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের কাজ যখন শুরু হয়, সে সময়ে ক্ষমতায় ছিল দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার।’’