প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
রাজকোট সব সময়েই তাঁর হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা হিসাবেই স্থান পাবে। দু’দিনের গুজরাত সফরে গিয়ে স্মৃতিচারণা করার সময়েই তাঁর মুখে রাজকোটের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। নিজের রাজ্যে এসে কিছুটা ‘নস্টালজিক’ হয়ে পড়েন মোদী। আর ২৪ ফেব্রুয়ারিতেই তিনি কেন রাজকোটের প্রসঙ্গ তুললেন? কী এমন সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে এই শহরের সঙ্গে?
শনিবার অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “রাজকোট সব সময়েই আমার হৃদয়ে থাকবে। এই শহর আমাকে ভরসা করেছিল। এই শহর আমার উপর আস্থা রেখেছিল। প্রথম ভোটে জয় আমার এই শহর থেকেই। এই শহরই আমাকে জিতিয়েছে।” তিনি আরও লেখেন, “তখন থেকেই আমি জনসাধারণের জন্যই কাজ করে চলেছি। ঘটনাচক্রে, আজ আমি গুজরাতে। রবিবারও থাকব। রাজকোটেও একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। এখান থেকেই পাঁচটি এমসের উদ্বোধন করব।” নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজকোটের সঙ্গে তাঁর স্মৃতি জড়িয়ে। কারণ, এই শহরই তাঁকে গুজরাতের বিধানসভায় পাঠিয়েছে। সাল ২০০২, ২৪ ফেব্রুয়ারি, রাজকোট ২ উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর আগের বছর অক্টোবরেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রিত্বের শপথ নিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু সেই পদ ধরে রাখতে তাঁকে ছ’মাসের মধ্যে বিধায়ক হতেই হত। আর রাজকোটই মোদীকে সেই সুযোগ দিয়েছিল। ২০০২ সালের জানুয়ারিতে রাজকোট ২ উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে জন্য মনোনয়ন পেশ করেন মোদী। ১৪ হাজার ৭২৮ ভোটে জিতে বিধায়ক হন তিনি। আর সেই জয়ই তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ বাঁচিয়েছিল। তাই তাঁর উপর সেই সময় রাজকোটের মানুষ যে আস্থা, ভরসা রেখে প্রায় ১৫ হাজার ভোটে জিতিয়ে বিধানসভায় পাঠিয়েছিলেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন মোদী।
সেই ভোটে জিতেই মোদী বলেছিলেন, “অবশেষে রাজকোটের মানুষ আমাকে তাঁদের বিধায়ক নির্বাচন করেছেন। রাজকোটবাসীদের বলেছিলাম আগলে রাখুন, আমাকে যেতে দেবেন না। আমার ‘অগ্নিপরীক্ষা’ নিন। কিন্তু আশা করতে পারিনি তাঁরা আমাকে ডিস্টিংশনে পাশ করাবে।” প্রায় ২২ বছর পর আবার রাজকোটে পা রাখছেন মোদী। বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে তাঁর। ২৪ ফেব্রুয়ারি গুজরাত সফরে গিয়েই ২২ বছর আগের সেই জয়ের স্মৃতিচারণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।