অভয়ারণ্য থাকাকালীন ১৯৯২ সালে এটি রাজীব গাঁধীর নামাঙ্কিত করা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
খেলরত্নের পর এ বার অসমের জাতীয় উদ্যান থেকে নাম বাদ পড়তে চলেছে রাজীব গাঁধীর। এক বিবৃতিতে এমনই জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
বুধবার এই মর্মে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় একটি প্রস্তাব পাশ হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে এত দিন রাজীব গাঁধীর নামে যে জাতীয় উদ্যান পরিচয় পেত, এ বার সেই নাম ছেঁটে ফেলা হবে। পরিবর্তে নাম রাখা হবে ওরাং জাতীয় উদ্যান।
সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অনেক দিন ধরেই ওই জাতীয় উদ্যানের নাম পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছিল বেশ কয়েকটি সংগঠন। সরকারের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ‘আদিবাসী সম্প্রদায়ের কথা বিবেচনা করে এবং চা চাষের সঙ্গে জড়িত আদিবাসী সম্প্রদায়ের দাবি মেনেই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে ওরাং জাতীয় উদ্যান।’
রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যানটি রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর তীরে। গন্ডার, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, পিগমি হগ, জংলি হাতি এবং বুনো মোষের জন্য পরিচিত এই জাতীয় উদ্যান। ৭৯.২৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা এই জাতীয় উদ্যানটিকে ১৯৮৫ সালে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে ১৯৯৯ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে গড়ে তোলা হয়। অভয়ারণ্য থাকাকালীন ১৯৯২ সালে সেটি রাজীব গাঁধীর নামাঙ্কিত করা হয়। পরে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করার পর ২০০১-এ কংগ্রেস সরকার এটি রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে।