অজানা জ্বরের জেরে ফিরোজাবাদে বন্ধ স্কুল। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া
উত্তরপ্রদেশে অজানা জ্বরের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। গত ১২ ঘণ্টায় আরও ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ফিরোজাবাদ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনের সময় একটি শিশুকে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বুধবার তারও মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে সেখানে গত ১৫ দিনে ৫২ শিশুর প্রাণ কাড়ল অজানা জ্বর।
ফিরোজাবাদ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল সঙ্গীতা আনেজা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে ২৪০টি শিশু ভর্তি আছে। সকলেই ডায়েরিয়া ও বমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। চিকিৎসকেরা বলছেন, ভর্তি হওয়া ওই শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার উপসর্গও রয়েছে। তবে কারও করোনা ধরা পড়েনি।
অজানা জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের রক্তে প্লেটলেটের ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে প্রবল জ্বর। সরকারি দলের পাশাপাশি লখনউয়ের কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির বিশেষ দল প্রতিটি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখে সরকারকে রিপোর্ট দেবে বলে জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
অন্য দিকে, এত শিশু একসঙ্গে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়ায় ওই হাসপাতালে জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের কর্মীরা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ফলে হাসপাতালে বেডের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আলাদা ওয়ার্ড করেও পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না।
অজানা জ্বরের দাপটে ফিরোজাবাদে স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ফিরোজাবাদের জেলাশাসক চন্দ্রবিজয় সিংহ ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সমস্ত স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।