রাজনীতির অঙ্গনে নতুন বছরের সেরা চমক দিতে পারেন রজনীকান্ত। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের। রাজনীতির অঙ্গনে নতুন বছরের সেরা চমক দিতে পারেন রজনীকান্ত। সক্রিয় রাজনৈতিক জীবন শুরু করবেন কি না তা জানাবেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করলেন স্বয়ং রজনী।
এ দিন সকাল থেকেই চেন্নাইয়ে ভক্তদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ শুরু করেছেন রজনীকান্ত। আগামী এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যের ১৮টি জেলার অসংখ্য ভক্তদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তাঁদের সামনে রজনী বলেন, “রাজনীতিতে আমি নতুন নই। আমার শুধু একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। ঈশ্বরের ইচ্ছা হলে আমি রাজনীতিতে পা রাখব। ৩১ ডিসেম্বরে আপনারা আমার রাজনৈতিক পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।”
রজনীর মতে, রাজনীতিটা আসলে যুদ্ধের ময়দানের মতো। তিনি বলেন, “আপনি যদি যুদ্ধের ময়দানে পা রাখেন তবে জিততেই হবে।” সেই রাজনীতির ময়দানে যে ফাঁদও পাতা রয়েছে তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন রজনী। তাঁর কথায়, “আমি জানি, কী কী ফাঁদ রয়েছে। আবার রাজনীতির কোন কোন সুবিধা রয়েছে তা-ও জানি। তবে এই ফাঁদগুলোর জন্যই রাজনীতিতে আসাতে এতটা দ্বিধাগ্রস্ত আমি।”
আরও পড়ুন
পাঁচ বছর পর কংগ্রেসকে ফেরার সুযোগ দেব না, একান্ত সাক্ষাৎকারে ঠাকুর
জঙ্গিদমনে সাফল্য সেনার, কাশ্মীরে খতম শীর্ষ জইশ নেতা
গত কয়েক মাস ধরে তামিল রাজনীতির অন্দরমহলে একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। রজনীকান্ত কি রাজনীতিতে আসছেন? তিনি কি বিজেপি-তে যোগ দেবেন? নাকি নিজের দল গড়বেন? দক্ষিণী ফিল্মের দেবতা নিজেও সে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন বার বার। রাজনীতিতে পা রাখা নিয়ে কখনও বলেছেন, “ঝড়ের জন্য তৈরি থাকুন।” আবার কখনও বলেছেন, “ঈশ্বরের ইচ্ছা হলে, কালকেই রাজনীতিতে আসব।” ঘনিষ্ঠ মহলেও সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বিজেপি শিবিরের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। জয়ললিতার মৃত্যুর পর তামিল রাজ্য রাজনীতিতে যখন নেতৃত্বের টানাপড়েন শুরু সে সময় রজনীকান্তের উপরে সমস্ত আশা-ভরসা রেখেছেন তাঁর ভক্ত-কূল। তাঁদের মতে, তামিল রাজনীতিতে রজনীর পূর্বসূরি জয়ললিতা, এম জি রামচন্দ্রনের মতোই যোগ্য নেতা হয়ে উঠবেন তাঁদের থালাইভা।