এ ভাবেই অত্যাচার করা হয় দলিত যুবকদের। টুইটারের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি
চুরির অভিযোগে দলিত সম্প্রদায়ের দুই ভাইকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজস্থান। একটি পেট্রোল পাম্পে ওই ঘটনার ভিডিয়োও রেকর্ড করা হয়েছে। সেই ভিডিয়ো ছড়াতেই নানা মহলে তোলপাড়। ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। রাহুল গাঁধী টুইট করে রাজ্য সরকারকে দ্রুত ও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলিত ও মহিলাদের উপর অত্যাচার ও অপরাধের ঘটনা বেড়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব বিজেপিও। টুইট করে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত।
রাজস্থানের নাগাউরে ঘটনাটি ঘটে রবিবার। চুরির অভিযোগে দুই দলিত যুবককে ধরে ফেলেন স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। তার পর পাম্পের মধ্যেই কয়েকজন মিলে তাঁদের উপর শুরু করেন অত্যাচার। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মারা হয়। যৌনাঙ্গে পেট্রোল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। গোটা এই পর্ব আবার ক্যামেরাবন্দি করেন এক জন।
সেই ছবি নানা মাধ্যমে ছড়ানোর পর নজরে আসে পুলিশেরও। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক রাজপাল সিংহ বলেন, ‘‘দু’জনকে চুরির অভিযোগে নির্মম ভাবে অত্যাচার করেছেন ওই পাম্পের কর্মীরা। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বুধবার নির্যাতিত দুই ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।’’ অভিযুক্তদের ধরতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই অফিসার।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত টুইটারে জানিয়েছেন, ‘‘নাগাউরের ভয়ঙ্কর ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাউকেই ছাড়া হবে না। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্য়বস্থা নেওয়া হবে এবং নির্যাতিতরা যাতে সুবিচার পান, তার জন্য সব রকম চেষ্টা করবে সরকার।’’
আরও পড়ুন: পাক সন্ত্রাস ইস্যুতে ভারতের দলে এল চিন, ইমরানকে কড়া বার্তা দিচ্ছে এফএটিএফ
তার মধ্যেই শুরু হয়েছে ‘দলিত’ রাজনীতি। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী ওই ভিডিয়োর কথা উল্লেখ করে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘রাজস্থানের নাগাউরের ওই ঘটনা ভয়ঙ্কর ও মর্মান্তিক। রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, ঘৃণ্য এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
আরও পড়ুন: চিকিৎসককে সপাটে চড়, প্রসূতি মৃত্যুতে উত্তেজনা একবালপুরের হাসপাতালে
রাহুলের ওই টুইটের সূত্র ধরেই বিজেপি নেতা অমিত মালবীয় পাল্টা তোপ দেগেছে রাজস্থান সরকার ও রাহুল গাঁধীকে। টুইটারে তাঁর খোঁচা, ‘‘রাজ্য সরকার? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অধীনেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। তাঁর নাম অশোক গহলৌত। যদি আপনি না জেনে থাকেন যে এই ঘটনার জন্য কে দায়ী, তাই বললাম। কংগ্রেস রাজস্থানে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলিত ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়ে গিয়েছে।’’ রাহুল গাঁধী বা মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত অবশ্য অমিত মালব্যর এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাননি।