সচিনদের খোঁজে তিন দিনে দু’বার মানেসর গেল রাজস্থান পুলিশের দল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দেখা মিলল না সচিন পাইলটদের। ফের মানেসরের রিসর্টে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হল রাজস্থান পুলিশকে। এই নিয়ে গত তিন দিনে দু’বার। রবিবার সন্ধ্যায় হরিয়ানার মানেসরের রিসর্টে ঢুকতেই পারলেন না রাজস্থান পুলিশের এসওজি (স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ)-এর আধিকারিকেরা। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পর বাধ্য হয়েই ফিরে আসেন তাঁরা। আদালতে সচিনদের ভাগ্য নির্ধারণের পর্ব শুরুর দিনেও রাজস্থান রাজনীতিতে বজায় রইল টানটান উত্তেজনা।
কোথায় রয়েছেন সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ক? বিজেপি সূত্রের খবর, হরিয়ানার মানেসর থেকে দিল্লিতে আনা হয়েছে তাঁদের। সচিন-অনুগামীরা ফের গহলৌত শিবিরের দিকে ঝুঁকতে পারেন আশঙ্কা করেই তাঁদের সরানো হয়েছে রাজধানীতে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁদের আলাদা আলাদা করে দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে রাজস্থান পুলিশ সচিনদের খুঁজছেন মানেসরের রিসর্টেই। সপ্তাহখানেক ধরেই সেখানকার দু’টি রিসর্টে সচিনরা রয়েছেন বলে শোনা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: দ্রুত আস্থা ভোট চান গহলৌত
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার! দেশে মোট আক্রান্ত ১১ লক্ষ ছাড়াল
অশোক গহলৌত সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য বিজেপি শিবিরের সঙ্গে মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে সচিন পাইলটের বিরুদ্ধে। সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য বিজেপির সঙ্গে সচিন-ঘনিষ্ঠদের আর্থিক লেনদেনের কথোপকথনের একাধিক অডিয়ো টেপ নিয়েও শুরু হয়েছে তরজা। ওই অডিয়ো টেপের একটিতে শোনা গিয়েছে সচিন-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ক ভাঁওয়ার লাল শর্মার সঙ্গে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত-ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় জৈনের আর্থিক দর কষাকষির কথাও। সচিনদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করলেও শেখাওয়াতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে রাজস্থান পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জন জৈনকেও।
আরও পড়ুন: গ্রাম কেশবপুর, জঙ্গি আয়েশা ওরফে প্রজ্ঞার খোঁজে এবিপি ডিজিটাল
ভাঁওয়ার লালের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতেই শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম মানেসরের রিসর্টে হানা দেয় রাজস্থান পুলিশ। তবে সেখানে দেখা যায়নি সচিনদের। কংগ্রেসের অভিযোগ, রিসর্ট থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয় হরিয়ানা পুলিশই। এর পর ফের গত কাল মানেসরে পৌঁছয় রাজস্থান পুলিশের এসওজি। গত বারের মতো এ বার তাদের সঙ্গে ‘অসহযোগিতা’ না করলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানা পুলিশকর্মীরা। তবে অভিযোগ, রিসর্টের দরজা খোলা হয়নি। প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করে রিসর্টের দরজা থেকেই ফিরে যান এসওজি আধিকারিকেরা।