সম্ভবত কাঁচি দিয়ে একাধিকবার স্ত্রীকে আঘাত করে স্বামী। আসলে স্ত্রী শিব ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। তিনি সেলাই করে সংসার চালাতেন। স্বামী বিশেষ কোনও কাজকর্ম করত না। প্রতীকী চিত্র
পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন স্ত্রী। মেঝে ভেসে যাচ্ছে রক্তে। নির্বিকার স্বামী পাশে বসেই মত্ত মোবাইলে গেম খেলতে। এমনই দৃশ্য সোমবার ধরা পড়েছে যোধপুরের বিজেএস কলোনি এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে আক্রান্ত শিব কানওয়ারের সঙ্গে তাঁর স্বামী বিক্রম সিংহের ঝগড়া হয়। প্রায়ই এই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। অশান্তির আঁচ পেতেন প্রতিবেশীরাও। রবিবার সেই ঝামেলাই চরমে ওঠে।
পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তখন দেখতে পায়, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন ওই মহিলা। তাঁর স্বামী নির্বিকার চিত্তে, স্ত্রীয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার বদলে পাশে বসে মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছে। পুলিশ পৌঁছেই ঘটনাস্থল থেকে আক্রান্ত শিব কানওয়ারকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছিলেন সকলেই। সম্ভবত কাঁচি দিয়ে একাধিকবার স্ত্রীকে আঘাত করে স্বামী। আসলে স্ত্রী শিব ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। তিনি সেলাই করে সংসার চালাতেন। স্বামী বিশেষ কোনও কাজকর্ম করত না। সেই নিয়ে সবসময়ই অশান্তি লেগে থাকত। রবিবার অশান্তি চরমে ওঠায় স্বামী ধারালো কাঁচি নিয়ে চড়াও হয় স্ত্রীয়ের উপর।
আরও পড়ুন : অমিত শাহের পুলিশের হাতে কি গৃহবন্দি কৃষক সমব্যথী কেজরী
ঘটনার সময় এই দম্পতির দুই সন্তান ঘটনাস্থলে ছিল না। পরে তাঁদের উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু খুন করেও এমন নির্বিকার চিত্তে বসে ছিল খুনে স্বামী, যা অবাক করেছে পুলিশকে।
আরও পড়ুন : বন্ধের প্রভাব এ রাজ্যেও, জায়গায় জায়গায় রেল ও সড়ক অবরোধ