প্রতীকী ছবি।
আইনের হাত থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বাঁচাতে অভিনব এক অর্ডিন্যান্স এনে বিতর্কের মুখে রাজস্থানের বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন: পদ্মার ইলিশে উপচে যাচ্ছে ফরাক্কার গঙ্গা
বসুন্ধরা রাজে সরকারের আনা নতুন এই অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে তার তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। এমনকী কোনও বিচারক সেই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবেন না। যদি তদন্ত করতেই হয় তা হলে সে ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
শুধু তাই নয়, ওই অর্ডিন্যান্সে আরও বলা হয়েছে, যত ক্ষণ না সরকার সবুজ সঙ্কেত দেবে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ওই সরকারি কর্মীর নাম, ঠিকানা, ছবি এবং পরিবার নিয়ে কোনও তথ্যই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। যদি সেই নিয়ম লঙ্ঘন করা হয় তা হলে দু’বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে সাংবাদিকের। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে, সরকার যদি ১৮০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশ না দেয়, তা হলে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: টুইটারে রাহুলের দাপট দেখে চিন্তা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের
তবে এ ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযুক্ত সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করতে পারবে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। সাধারণত পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর, পুলিশ যদি ঠিকঠাক ব্যবস্থা না নেয়, তখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় অভিযোগকারীকে। আদালত যদি মনে করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রয়োজন, এই নতুন অর্ডিন্যান্স জারি হলে সে রাস্তাও কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী অভিযুক্ত সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা উঠবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারের হাতে ৬ মাস সময় থাকছে।