—ফাইল চিত্র।
দলের নির্দেশ মেনে রাজস্থানের উদ্দেশে রওনা দেননি সচিন পাইলট। তবে অশোক গহলৌতের সঙ্গে তাঁর সমঝোতা যে সহজ হবে না, তা ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। গহলৌত ও তাঁর মধ্যে রফাসূত্র বার করতে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই সচিন শিবিরের তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হল। তাতে ১৫-১৬ জন বিধায়ককে এক জায়গায় দেখা গিয়েছে। তাঁরা সকলেই সচিন পাইলটের সমর্থক বলে জল্পনা।
সোমবার রাতে রাজস্থানের পর্যটন মন্ত্রী বিশ্ববেন্দ্র সিংহের টুইটার হ্যান্ডল থেকে ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োটি প্রকাশ করা হয়। তাতে রাজস্থানের বিধায়ক ইন্দ্ররাজ গুজ্জর, জিআর খাটানা, হরিশ মীনা-সহ বেশ কয়েক জনকে দেখা যায়। নিজের টুইটে তাঁদের ‘পরিবার’ বলে উল্লেখ করেন বিশ্ববেন্দ্র। ভিডিয়োটি কোথায় তোলা হয়েছে, তা যদিও জানাননি বিশ্ববেন্দ্র। তবে সচিন অনুগামীদের কয়েক জন গত দু’-তিন ধরে হরিয়ানায় রয়েছেন। সেখানে মানেসরের একটি রিসর্টে ভিডিয়োটি তোলা হয়ে থাকতে পারে বলে জল্পনা।
অন্য দিকে, গত দু’দিন ধরে দিল্লিতে থাকার পরও সনিয়া এবং রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করা হয়নি সচিন পাইলটের। মঙ্গলবার সকালে তিনি নিজে মানেসর রওনা দেন বলেও একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এ দিন জয়পুরে দলের বৈঠকে তিনি যাননি। এর আগে সোমবার সকালে অশোক গহলৌতের ডাকা পরিষদীয় দলের বৈঠকেও যোগ দেননি তিনি। সেখানে সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। বলা হয়, সরকার অথবা দলকে দুর্বল করে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হলে, কাউকে রেয়াত করা হবে না।
বিশ্ববেন্দ্র সিংহের পোস্ট।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস হাইকমান্ডের কি আর দলের উপরে ‘কমান্ড’ নেই? প্রশ্ন তুলে দিল ‘বিদ্রোহ’
আরও পড়ুন: হেমতাবাদের বিধায়কের মৃত্যুতে রহস্য, তদন্তে সিআইডি
তবে গহলৌতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেও, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত একটি কথাও বলেননি সচিন পাইলট। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনাও খারিজ করেছেন তিনি। তাতেই গহলৌত ও তাঁর মধ্যে রফা করাতে উদ্যোগী হয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু এত সহজে যে বরফ গলবে না, অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করে সচিন শিবিরের তরফে সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।