অশোক গহলৌত এবং সচিন পাইলট। ফাইল চিত্র।
সচিন পাইলট প্রশ্ন তুললেন, বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে রাজস্থানের মানুষ কংগ্রেসকে সরকারে এনেছিল। তা হলে গত চার বছরে সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হল না কেন?
অশোক গহলৌত বললেন, প্রথমে গোটা দেশে করোনা এসেছিল। তার পরে কংগ্রেসে দলের মধ্যেও একটা করোনা এসে গিয়েছিল। কেউ কারও নাম করলেন না।
সচিন বহু দিন ধরেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে বা কংগ্রেসের সংগঠনের শীর্ষপদে বদল চাইছেন। প্রথমে তাঁকে বলা হয়েছিল, ভারত জোড়ো যাত্রা রাজস্থান পার হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এখন বলা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারির শেষে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনের পরে সিদ্ধান্ত হবে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তহীনতায় হতাশ পাইলট নিজেই বছরের শেষে রাজস্থান ভোটকে পাখির চোখ করে নিজের প্রচারে নেমে পড়েছেন। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে তিনি একের পর এক কৃষক জনসভা করছেন। শুক্রবার যুব সম্মেলন করবেন। পাইলটের ঘনিষ্ঠ শিবিরের বক্তব্য, রাহুল গান্ধীকে জানিয়েই পাইলট নিজের জনসংযোগে নেমেছেন। আজ সেই জনসভাতেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, গহলৌত সরকার কেন বিজেপির বসুন্ধরা সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি?
উল্টো দিকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়তে নারাজ গহলৌত সামনের মাসের বাজেটে ভোটের দিকে নজর রেখে খয়রাতির পথে হাঁটতে চাইছেন। তাঁর দাবি, গত তিন দশক ধরে রাজস্থানে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদল হলেও এ বার তিনি নিয়ম পাল্টে দেবেন। সেই প্রাক-বাজেট সম্মেলনেই গহলৌত বলেন, দেশে করোনার পরে কংগ্রেস দলেও করোনা ঢুকে পড়েছিল।
দিল্লিতে কংগ্রেস নেতারা বলছেন, দুই শিবিরের ভারসাম্য রেখেই সিদ্ধান্ত হবে। রাহুল নিজে বলেছেন, গহলৌত-পাইলট দু’জনেই দলের সম্পদ। কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ডের সামনে প্রশ্ন, গহলৌতকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরালে তাঁর মতো প্রবীণ নেতাকে অন্য কী দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে? তাঁকে সনিয়া গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদের জন্য ভেবেছিলেন। তিনি রাজি না হয়ে বিদ্রোহ করলেও হাইকমান্ড তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পাইলট হাইকমান্ডকে বলছেন, তাঁকে মুখ করা হলে গুজ্জর সম্প্রদায়ের সঙ্গে জাঠদের মেলবন্ধন করে কংগ্রেসের জয়ের রাস্তা তৈরি করবেন। কংগ্রেসের অনেকে তাঁকে বোঝাচ্ছেন, শেষবেলায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ভোটে হারলে মুখ পুড়বে। তার বদলে ভোটের ফল পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।