মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত (বাঁ দিকে) ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। - ফাইল ছবি।
লোকসভা ভোটে ভরাডুবির জেরে শাসক দল কংগ্রেসের দলীয় কোন্দল চরমে পৌঁছেছে রাজস্থানে। প্রদেশে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন। দাবি উঠেছে গহলৌতকে সরিয়ে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পায়লটকে মুখ্যমন্ত্রী করার। কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে মধ্য়প্রদেশেও। সেখানে বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মধ্যে।
প্রদেশ কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিধায়ক পৃথ্বীরাজ মীনা বুধবার বলেছেন, ‘‘ভোটের ফলাফলেই বোঝা গিয়েছে অশোক গহলৌতের উপর আর ভরসা নেই রাজ্যের মানুষের। এ বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত সচিন পায়লটের।’’ রাজস্থানের তোড়া ভিম আসনের বিধায়ক মীনা এও বলেছেন, ‘‘বয়সে তরুণ সচিন আরও ভাল কাজ করতে পারবেন।’’ তিনি মনে করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত রাজ্যের জাঠ ও গুজ্জর শ্রেণির ভোটারদের একসূত্রে বেঁধে রাখতে পারেননি।
পূর্ব রাজস্থানের মীনা উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পৃথ্বীরাজের প্রভাব দীর্ঘ দিনের। ভোটের পর থেকেই মীনা সম্প্রদায় সরব হয়েছে গহলৌতের বিরুদ্ধে। ওই সম্প্রদায়ের আরও দুই কংগ্রেসি বিধায়ক রমেশ মীনা ও উদয়লাল অঞ্জনা এর আগে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের নামোল্লেখ না করে বলেছেন, ‘‘কার জন্য এমন হল, এ বার সেটা বেছে নেওয়ার সময় এসেছে।’’
আরও পড়ুন- বৃদ্ধি, চাকরির খোঁজে মোদী
আরও পড়ুন- মন্দিরে ঢুকতে যাওয়ার ‘শাস্তি’, দলিত কিশোরের হাত-পা বেঁধে মার!
ভোটে ভরাডুবির পর রাজস্থান কংগ্রেসে বিক্ষোভ দানা বাঁধছে আঁচ করেই এবিপি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গহলৌত বিপর্যয়ের জন্য দায় চাপিয়েছিলেন সচিন পায়লটের ঘাড়ে। বলেছিলেন, ‘‘উনি (সচিন) তো বলেছিলেন, আমার ছেলেকে (বৈভব) উনিই টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন। হাইকমান্ডকে নাকি এও বলেছিলেন, আমার ছেলেকে উনি ঠিক জিতিয়ে আনবেন। বলেছিলেন, ৬ জন বিধায়ককে প্রচারে পাঠিয়েছেন জোধপুরে, আমার ছেলেক জিতিয়ে আনার জন্য। কিন্তু আমার ছেলে তো জিততে পারেননি। এ বার সেই পরাজয়ের দায়টাও উনি (সচিন) নিন।’’ বিজেপি প্রার্থীর কাছে এ বার জোধপুর আসনে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন গহলৌতের ছেলে বৈভব। জোধপুর কংগ্রেসের পুরনো আসন।