অশোক গহলৌত। ফাইল চিত্র।
বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য তাঁকে লাগাতার চাপ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের অনুগামীরা। অভিযোগ রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস বিডি কল্লার। তিনি বলেন, ‘‘ইস্তফা না দিলে পরিণতি খারাপ হবে বলে আমাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে।’’
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে গহলৌতকে। এআইসিসি নিযুক্ত দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং অজয় মাকেন রবিবার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের জন্য বিধায়কদের মত জানতে জয়পুরে গিয়েছিলেন। কিন্তু গহলৌত অনুগামীরা তাঁদের সঙ্গে দেখা না করে গহলৌত অনুগামী মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে পৃথক বৈঠক করেন।
এর পর স্পিকার সিপি জোশীর বাড়ি গিয়ে অন্তত ৮২ জন গহলৌত অনুগামী বিধায়ক ইস্তফা দেন বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর। সচিন পাইলটকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করা হলে দল ছাড়ারও হুমকি দেন তাঁরা।
রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কল্লা অবশ্য সোমবার জানিয়েছেন, দলের অধিকাংশ বিধায়কই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের প্রশ্নে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তত। ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে গহলৌত জানিয়েছেন, মরুরাজ্যের কংগ্রেস বিধায়কদের এই ‘বিদ্রোহে’ তাঁর কোনও ইন্ধন নেই।
সোমবার কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে কথা না বলেই দিল্লি ফিরেছেন মাকেন। জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সনিয়ার কাছে কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘যে বিধায়কেরা আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ ওঠা অসঙ্গত নয়।’’ গহলৌত-পন্থী বিধায়কদের দাবি, ২০২০ সালে গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে পাইলট ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় যে সব বিধায়ক সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদেরই মধ্যে এক জনকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হোক। এ ক্ষেত্রে স্পিকার জোশী নাম মেনে নিতে তাঁদের আপত্তি নেই বলেও ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বকে।