সচিন পাইলট এবং সিপি জোশী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
জল্পনা শুরু হয়েছিল শুক্রবার রাত থেকেই। রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা ছেড়ে সচিন পাইলট রাজস্থানে পৌঁছে বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশীর সঙ্গে দেখা করার পরে। শনিবার মরুরাজ্যের একাধিক কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে সচিনের বৈঠকের পর তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের সম্ভাবনা নিয়ে সেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে।
সচিনের মতোই রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি জোশী রাহুলের ‘আস্থাভাজন’ হিসেবে পরিচিত। ফলে তাঁর সঙ্গে সচিনের বৈঠককে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে কংগ্রেসের একাংশ। শুক্রবারের ওই বৈঠকে কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক ও মন্ত্রীও হাজির ছিলেন। ঘটনাচক্রে, এর পরেই শনিবার রাজস্থানের মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুঢা বলেন, ‘‘সচিন পাইলটই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কংগ্রেসের অধিকাংশ বিধায়কের পাশাপাশি বিএসপি ছেড়ে আসা বিধায়কেরাও তাঁকেই সমর্থন করছেন।’’
কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচিত হলে অশোক গহলৌতকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে বলে বৃহস্পতিবারই বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কেরলের কোচিতে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আশা করি তা রক্ষা করা হবে।’’ এর পরেই গহলৌতের উত্তরসূরি নিয়ে জল্পনা জোরালো হয় কংগ্রেসের অন্দরে।
রাহুলের ওই মন্তব্যের আগে বুধাবার রাতে দিল্লিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে এসে গহলৌত বলেছিলেন, ‘‘কেউ মন্ত্রী থেকেও কংগ্রেস সভাপতি হতে পারেন। এক ব্যক্তি, এক পদ-এর নীতি শুধুমাত্র মনোনীত পদের ক্ষেত্রেই খাটে। সভাপতি নির্বাচনে যে কোনও মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একটা-দুটো কেন, এক সঙ্গে তিনটি পদ সামলাতে পারি।’’
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকতে চেয়েছিলেন গহলৌত। একান্তই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হলে গহলৌত জয়পুরে কুর্সিতে তাঁর আস্থাভাজন কাউকে বসাতে চান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ করা সচিনকে মেনে নিতে আপত্তি রয়েছে তাঁর। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাল্লা ক্রমশ সচিনের দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করছে কংগ্রেসের একাংশ।