অশোক গহলৌত।
মুখ্যমন্ত্রী পদে সচিন পাইলটকে বসানো হলে তাঁরা ইস্তফা দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন রাজস্থানের অন্তত ৯০ জন কংগ্রেস বিধায়ক। তার প্রেক্ষিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত জানিয়েছেন, রাজ্য-রাজনীতিতে উদ্ভুত এই পরিস্থিতি আর তাঁর হাতে নেই। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মরুরাজ্যে ‘মহাসঙ্কট’-এর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরেই শীর্ষ নেতৃত্ব ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপালের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে গহলৌতের। ওই ফোনালাপেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমার হাতে আর কিছু নেই।’’
যদিও গহলৌতের সঙ্গে ফোনে কথা হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ভেনুগোপাল। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীও আমায় কোনও ফোন করেননি। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।’’
গহলৌত যদি কংগ্রেসে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন, তা হলে রাজস্থান সরকারের হাল কে ধরবেন, তা নিয়ে রবিবার পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তা নিয়ে জল্পনার আবহে ৯২ জন বিধায়ক হুমকি দিয়ে বসেন, পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হলে তাঁরা ইস্তফা দেবেন। পরিষদীয় দলের বৈঠকের আগে রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে বৈঠকেও বসেছিলেন কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন বিধায়ক। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে পাইলটের বিরোধিতায় প্রস্তাবও পাশ হয় বলে খবর দলীয় সূত্রে। গহলৌত-ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের বক্তব্য, ২০২০ সালে গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে পাইলট ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় যে সব বিধায়ক সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদেরই এক জনকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হোক।
রবিবার রাতে পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অজয় মাকেন এবং পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খড়্গের উপস্থিতিতে মুখোমুখি বসার কথা ছিল গহলৌত এবং পাইলটের। সেই বৈঠক আদৌ হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার মধ্যেই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে মাকেন এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা এখনই দিল্লি যাচ্ছি না। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী আমাদের বলেছেন, প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে। আমরা আজই ওঁদের সঙ্গে দেখা করব।’’