কিরোরীলাল মিনা। —ফাইল চিত্র
লোকসভা ভোটের আগে কথা দিয়েছিলেন যে, সাতটি লোকসভা আসনের একটিতেও দল হারলে পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। কিন্তু রাজস্থানের ওই সাতটি লোকসভা আসনের প্রত্যেকটিতে পদ্মফুল ফোটেনি। তাই কথা রাখতে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন রাজস্থানের মন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা কিরোরীলাল মিনা। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, ১০ দিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে তা এখনও গৃহীত হয়নি।
কৃষি, গ্রামোন্নয়ন-সহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন মিনা। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বটেই, সব পদ থেকেই ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। মিনা পূর্ব রাজস্থানের নেতা। প্রবীণ এই নেতা দাবি করেছিলেন, পূর্ব রাজস্থানের সাতটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে বিজেপি প্রার্থীদের জেতানোর দায়িত্ব তাঁকে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি গত ৪ জুন ভোটগণনার আগেও মিনা বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাতটি আসনের তালিকা দিয়েছিলেন। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। যদি সাতটি আসনের মধ্যে দল একটি আসনেও হারে, আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।”
ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ রাজস্থানের ২৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১০টিতে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস একাই পেয়েছে ৮টি আসনে। গত লোকসভা বিজেপি ২৪টি আর তাদের সহযোগী দল একটি আসন পেয়েছিল। এ বার সেই বিজেপি মাত্র ১৪টি আসন পেয়েছে। যে সাতটি আসন জেতানোর জন্য মোদী মিনাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলে দাবি, সেগুলির মধ্যে চারটি আসনেই হারে বিজেপি। এই আসনগুলি হল ভরতপুর, করৌলি-ঢোলপুর, দৌসা এবং টঙ্ক সোয়াই মাধোপুর। এক সময় দৌসা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন মিনা। কিন্তু প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জিতে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলটের গড় দৌসা পুনর্দখল করেছে হাত শিবির।
সব মিলিয়ে ভোটের ফলপ্রকাশের এক মাসের মাথায় মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন মিনা। তবে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার নেপথ্যে দলের প্রতি কোনও অসন্তোষ নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, নৈতিক কারণেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।