ছবি: সংগৃহীত।
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের জেরে আসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে আরব আমিরশাহিতে যাওয়ায় আসছেন না বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও। তার পরেও বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘রাইসিনা আলোচনা’ সফল করতে তৎপর সাউথ ব্লক।
রাজধানীতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এই রাইসিনা আলোচনায় রাশিয়া, ইরান-সহ ১৭টি দেশের বিদেশমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে চলেছেন। সূত্রের খবর, তার মধ্যে ১২টি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফের সঙ্গে পৃথক বৈঠক দু’টি বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থাকার কথা। তবে এখনও পর্যন্ত স্থির আছে, সম্মেলনটি বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের হওয়ায় মোদী সেখানে বক্তৃতা দেবেন না। ইরানের সঙ্গে
আমেরিকার যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম ইরানের কোনও মন্ত্রী ভিন্দেশের মাটিতে বক্তৃতা দেবেন। ওয়াশিংটন এই সম্মেলনে উপস্থিত না-থাকলেও স্বাভাবিক ভাবেই ১৪-১৬ তারিখ ট্রাম্প প্রশাসনের নজর থাকবে নয়াদিল্লিতে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত নয়াদিল্লি দফায় দফায় কথা বলেছে আমেরিকা ও ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টেরও। মধ্যস্থের ভূমিকায় ভারতকে চায় তেহরান। এমতাবস্থায় ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও জাভেদ জারিফের বক্তৃতা রাইসিনা আলোচনার পাশাপাশি পৃথক গুরুত্ব পেতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ভিআইপি নিরাপত্তা থেকে সরছে এনএসজি
থাকছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, মলদ্বীপ, ভুটানের বিদেশমন্ত্রীরাও। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ২০১৬ সালে এই সংলাপ শুরু হওয়ার পর এ বারেই সব চেয়ে বেশি দেশের প্রতিনিধিত্ব থাকছে। বিদেশমন্ত্রী ছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রী, সাংসদ, বিদেশসচিব বিজয় গোখলে এবং শীর্ষ পর্যায়ের আমলারা হাজির থাকবেন সংলাপে।