প্রতীকী চিত্র।
১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর উৎসবের মরশুম। এই সময়ে কমপক্ষে ২০০টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলবোর্ডের সিইও বিনোদকুমার যাদব। উৎসবের সময়ে যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা রেলের। তবে কোন কোন রুটে এই ট্রেনগুলি চলবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। যাত্রীদের চাহিদা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে রেলের সিইও জানিয়েছেন, "আমরা রেলের সব জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বলেছি। সেই আলোচনার পরে সকলকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সেই সব রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই ঠিক করা হবে, উৎসবের সময়ে কত ট্রেন চালানো হবে। এখনও পর্যন্ত আমাদের যা হিসেব, তাতে ২০০ স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। তবে সেই সংখ্যাটা বাড়তে পারে।"
যাদব জানিয়েছেন, রেল প্রতিদিন দেশের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। কোন ট্রেনে কেমন সংখ্যক যাত্রী হচ্ছে তার হিসেব রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে দেখা হচ্ছে, কোথায় কোথায় ট্রেন চালানো দরকার। তিনি বলেন, প্রয়োজন মতো ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। যে সব রুটে চাহিদা বেশি সেখানে আরও বেশি করে ক্লোন ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যাদবের কথায়, "প্রতিদিন সকালে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোন রুটে টিকিটের চাহিদা কেমন সেই তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। যেখানেই যাত্রীদের ওয়টিংলিস্ট বড় হবে সেখানেই ক্লোন ট্রেন চালানো হবে। কোনও ক্লোন ট্রেনের সব আসন ভর্তি হয়ে গেলে সেই রুটে আরও একটা ক্লোন ট্রেন চালানো হবে, যাতে কোনও যাত্রীকেই ওয়েটিংলিস্টে না থাকতে হয়।"
আরও পডু়ন: বয়স যৌন ইচ্ছা কমায় না মহিলাদের, বলছে নতুন সমীক্ষা
আরও পডু়ন: চাকরিটা আমি পিয়ে গেছি... অফিস থেকে বেরিয়েই রাস্তায় নাচ যুবতীর
লকডাউন ঘোষণার শুরু থেকে বন্ধ হয়ে যায় নিয়মিত ট্রেন চলাচল। ২৫ মার্চ বন্ধ হওয়া পরিষেবা মে মাস থেকে একটু একটু করে চালু হয়। ১২ মে প্রথম পর্যায়ে চালু হয় ১৫ জোড়া ট্রেন। এর পরে ১ জুন থেকে চলে আরও ১০০ জোড়া এবং ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪০ জোড়া স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয় ২০ জোড়া ক্লোন ট্রেন। এছাড়াও লকডাউনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, পর্যটক, পড়ুয়াদের ঘরে ফেরার জন্য স্পেশাল ট্রেন চালিয়েছে রেল। এবার উৎসবের সময়েও স্পেশাল ট্রেন চালুর উদ্যোগ।