Rahul Gandhi

মোদী সরকারের জমানায় রেল চালকেরা কি যথেষ্ট বিশ্রাম পাচ্ছেন? রাহুলকে কী জানালেন তাঁরা

রেলের চালকেরা জানান, বিশাখাপত্তনম রেল দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্টের মতো একাধিক রেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চালকেরা যথেষ্ট বিশ্রাম পাচ্ছেন না। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৫
Share:

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছিল, মালগাড়ির চালক কি যথেষ্ট বিশ্রাম পেয়েছিলেন! না কি মোদী সরকারের জমানায় রেল লোকো চালক ও সহকারী লোকো চালকের অভাবে ভুগছে বলে ট্রেনের চালকরা যথেষ্ট বিশ্রাম পাচ্ছেন না?

Advertisement

আজ নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে রাহুল গান্ধীকে হাতের কাছে পেয়ে রেলের চালক বা লোকো পাইলটেরা সেই যথেষ্ট বিশ্রামের অভাব নিয়ে অভিযোগ তুললেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের ট্রেন নিয়ে বাড়ি থেকে বহু দূরে যেতে হয়। তারপরে যথেষ্ট বিশ্রাম ছাড়াই ফের কাজে নেমে পড়তে হয়। শরীর ও মনের উপরে চাপ পড়ে। মনঃসংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। সেটাই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে ওঠে। গত চার বছরে রেলে এক জনও নতুন লোকো পাইলট নিয়োগ করা হয়নি। কর্মীর অভাবের ফলেই কর্মরত চালকদের উপরে অসহনীয় কাজের চাপ পড়ছে।

আজ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আচমকাই নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে হাজির হন রেলের লোকো পাইলটদের সঙ্গে কথা বলতে। রেলের প্রায় ৫০ জন লোকো পাইলট সেখানে হাজির ছিলেন। শুক্রবার সকালে তিনি হাথরসে গিয়েছিলেন। সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। দুপুরে তিনি নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে যান।

Advertisement

রেলের চালকেরা জানান, বিশাখাপত্তনম রেল দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্টের মতো একাধিক রেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চালকরা যথেষ্ট বিশ্রাম পাচ্ছেন না। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটছে। সপ্তাহে অন্তত ৪৬ ঘণ্টা বিশ্রাম প্রয়োজন। যদি কোনও লোকো পাইলট শুক্রবার বিকেলে বাড়ি ফেরেন, সে ক্ষেত্রে তিনি রবিবার সকালের আগে ফের কাজে যোগ দেবেন না। রেলের আইনেও এই বিশ্রামের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। পাইলটরা জানান, দু’টো রাত পরপর জেগে ডিউটি করার পরে একটা রাত বিশ্রাম প্রয়োজন। ট্রেনের মধ্যে চালকদের জন্য ন্যূনতম সুযোগসুবিধা থাকা দরকার। কিন্তু গত চার বছরে কোনও নতুন লোকো পাইলট নিয়োগ করা হয়নি। অথচ রেলে হাজার হাজার পদ খালি পড়ে রয়েছে।

লোকো পাইলটদের আরও অভিযোগ, মোদী সরকার রেলের বেসরকারিকরণ করতে চাইছে বলে পরিকল্পিত ভাবে এ সব করছে।

রাহুল রেলের কর্মীদের আশ্বাস দেন, তিনি রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে, কর্মী নিয়োগের দাবিতে আগেও সরব হয়েছেন। লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি আবার এ নিয়ে সরকারের কাছে দাবি জানাবেন।

রাহুলের এই সক্রিয়তার ফলে রেল মন্ত্রক অস্বস্তিতে পড়েছে। উত্তর রেলের মুখপাত্র দীপক কুমার জানান, নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে যেখান থেকে চালকদের ট্রেন চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেখানে রাহুল গান্ধী এসেছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে যে সব চালক দেখা করেছেন, তাঁরা ওখানকার নন। তাঁরা বাইরে থেকে এসেছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement