GPS

জিপিএস নজরদারির আওতায় ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা

বর্ষার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু, জলাভূমি বা বাঁধ আছে এমন জায়গার রেললাইন নজরে রাখতে হয়। প্রবল বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে গিয়ে রেলপথ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে কিনা তা দেখতে হয়।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৫৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রেলের ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারির কাজে নিযুক্ত কর্মীদের জিপিএস ব্যবস্থার আওতায় আনার পরে নজরদারির ব্যবস্থা আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে বলে দাবি রেল আধিকারিকদের।

Advertisement

বর্ষার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু, জলাভূমি বা বাঁধ আছে এমন জায়গার রেললাইন নজরে রাখতে হয়। প্রবল বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে গিয়ে রেলপথ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে কিনা তা দেখতে হয়। প্রয়োজনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে দ্রুত সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নিতে হয়। একই ভাবে গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে সংকোচন-প্রসারণের সমস্যার জন্য রেললাইনে ফাটলের ঘটনা ঘটে বেশি। রেললাইনের এই সব সমস্যা নজরদারি করার দায়িত্বে থাকেন 'পেট্রল ম্যান' এবং ‘কি ম্যান’-রা।

পেট্রল ম্যানেরা মূলত রাতে টর্চ, সেফটি ল্যাম্প, লাল পতাকা, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ট্রেন থামানোর জন্য ডিটোনেটর-সহ একাধিক জরুরি সরঞ্জাম নিয়ে রেললাইনের নজরদারির দায়িত্বে থাকেন। কি ম্যানরা দিনে হাতুড়ি নিয়ে রেললাইন ধরে হেঁটে দু’পাশে নজরদারি চালান। কোথাও লাইনে ফাটল, স্লিপার ভাঙা, ফিশপ্লেট খোলা, প্যান্ড্রোল ক্লিপ খোলা, পয়েন্টের সমস্যা থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান তাঁরা। ছোটখাট সমস্যা নিজেরাই মেরামত করেন।

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, দুর্ঘটনা রোখার ক্ষেত্রে এই দু’ধরণের কর্মীদের নজরদারির ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নজরদারির সেই ব্যবস্থা আরও পোক্ত করতে শিয়ালদহ ডিভিশনের ৪১৮ জন কর্মীকে বছর দুই আগে জিপিএস ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়। গলায় ঝোলানোর জন্য মোবাইলের মতো একটি যন্ত্র দেওয়া হয়। ওই যন্ত্রের মাধ্যমে কর্মীর অবস্থান এবং কাজের জায়গা রেলের কন্ট্রোলরুম থেকে জানা যায়। এ ছাড়াও যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য তিনটি গুরুত্বপুর্ণ নম্বর ‘এসওএস’ হিসাবেও ওই যন্ত্রে দেওয়া থাকে। কোথাও কোনও সমস্যা দেখলেই কর্মীরা নিজস্ব ফোন ছাড়াও ওই যন্ত্রের মাধ্যমে সরাসরি কন্ট্রোলরুমে বার্তা পাঠাতে পারেন।

রেল সূত্রের খবর, ওই সব কর্মীদের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য আলাদা সেল তৈরি করেছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন। ওই সব তথ্য থেকে লাইনের কোন অংশে নিয়মিত ট্রেন চলাচল, আবহাওয়া, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কেমন প্রভাব পড়ে তা বোঝাও সহজ হয়েছে বলে দাবি রেল কর্তাদের। এক রেল কর্তা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় কর্মীদের আরও দক্ষ ভাবে ব্যবহার করা ছাড়াও কোথায় নজরদারি বাড়াতে হবে তার আভাসও দিতে শুরু করেছে নতুন ব্যবস্থা। যা রেলের যাত্রী সুরক্ষার দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement