Rail

Rail: বেসরকারি হাতে যাচ্ছে এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন জমি, কর্মী আবাসনের জমিও লিজ দিতে চায় রেল

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন ব্যারাক কলোনির জমি বেসরকারি সংস্থাকে ৯৯ বছরের জন্য লিজে দিতে চায় রেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:২৫
Share:

ফাইল ছবি

রেলের জমি 'ল্যান্ড পার্সেল' হিসেবে বাণিজ্যিক উন্নয়নের কাজে লিজ় দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আগেই। এ বার বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন ব্যারাক কলোনির জমি বেসরকারি সংস্থাকে ৯৯ বছরের জন্য লিজে দিতে চান রেলওয়ে ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আরএলডিএ) বা রেলের জমি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সেই জন্য রেলকর্মী আবাসনের কাছাকাছি ১৬ হাজার বর্গমিটারেরও বেশি আয়তনের জমিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

ব্যারাক কলোনির ওই বর্গাকার জমিটি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ৫-৬ মিনিটের দূরে এবং স্টেশন রোডের লাগোয়া। কাছেই রেলের অফিস এবং গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল। আরএলডিএ-র বক্তব্য, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহর দার্জিলিং কালিম্পং, গ্যাংটক-সহ পাহাড়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার। ফলে বাণিজ্যিক দিক থেকেও এই দুই শহর গুরুত্বপূর্ণ। লিজ়ের জন্য প্রস্তাবিত জমিটি খোলামেলা ও দখলমুক্ত। তাই ‘ল্যান্ড পার্সেল’ হিসেবে পাওয়ার পরে ওই জমি বাণিজ্যিক উন্নয়নের কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি। আরএলডিএ-র চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ দুদেজা বলেন, ‘‘ওই জমির অবস্থানগত নানা সুবিধা রয়েছে। সেটি উন্নত মানের বাণিজ্যিক আবাসন নির্মাণের উপযুক্ত।’’

আরএলডিএ সূত্রের খবর, ১৬,২২২ বর্গমিটার জমি ৯৯ বছরের লিজে দেওয়ার জন্য ন্যূনতম ২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা মূল্য ধার্য করা হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর আগ্রহী এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের সঙ্গে এক দফা বৈঠক করেছে রেল। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই জমির জন্য দরপত্র দাখিল করতে পারবেন আগ্রহী ক্রেতারা। ওই জমির কাছাকাছি ৯৬টি কর্মী আবাসন নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই কাজ দু’বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।

Advertisement

আরএলডিএ এর আগে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন নুনগোলার জমি, আসানসোলে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের অফিস সংলগ্ন জমি লিজ়ে দিয়েছে। রেলের অব্যবহৃত জমি বেসরকারি সংস্থাকে বাণিজ্যিক উন্নয়নের কাজে ভাড়া দিয়ে আয় বাড়ানোর তৎপরতা চলছে কয়েক বছর ধরে। রেলের কর্মী সংগঠনগুলি অবশ্য প্রথম থেকেই এ ভাবে রেলের জমি ভাড়া দেওয়ার বিরোধী। তাদের অভিযোগ, ঘুরপথে রেলের জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে জলের দরে। এই পরিকল্পনায় রেলের আর্থিক স্বাস্থ্য ফিরবে না। উল্টে এতে বেসরকারি সংস্থার আয় বাড়ানোর পথই প্রশস্ত হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement