১২ ঘণ্টার রেল রোকো ৬ ঘণ্টায় প্রত্যাহার করায় খানিক স্বস্তি পেলেন রেলযাত্রীরা।
উপজাতি মর্যাদার দাবি, উচ্ছেদ হওয়া আদিবাসীদের পুনর্বাসন, চা শ্রমিরদের জমির পাট্টা প্রদান, আদিবাসী জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে দ্রুত শান্তি আলোচনা শেষ করার দাবিতে আজ কোকরাঝাড় স্টেশনে ১২ ঘণ্টা রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিল ‘আদিবাসী ন্যাশনাল কনভেনশন’ বা এএনসি। আটটি ট্রেন বাতিল করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রপথ বদল করা হয়। রাজধানী-সহ দূরপাল্লার বেশ কিছু ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকে। পরে জেলাশাসকের কাছে দাবি মেটানো ও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
এএনসি-র সভাপতি বয়াল হেমব্রেম, সেনাধ্যক্ষ তথা সাধারণ সম্পাদক বীরসিং মুন্ডা, কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রেম হাঁসদা, আদিবাসী কোবরা মিলিটান্ট-এর জাব্রিয়াস সাসা, বিসিএফ চেয়ারম্যান দুর্গা হাঁসদা, এপিএ চেয়ারম্যান বিজয়সিং লাক্রা, এএএসএসইউ সভাপতি সিমন কিসকু এবং একেএসএসএ সভাপতি কমলেশ্বর টপ্পোর স্বাক্ষরিত স্মারকপত্র পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে।
রেলসূত্রে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় সবুজ সঙ্কেত মেলার পরে দুপুর সওয়া ১টা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু ১৮টি আপ ও ডাউন ট্রেন দেরিতে চলছে।
অন্য দিকে, উত্তর-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের চাপ কমাতে কামাখ্যা-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-ভগৎ কি কোঠি এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-কাটরা এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস, শিলচর-নয়াদিল্লি পূর্বোত্তর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি-নয়াদিল্লি সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসে স্থায়ী ভাবে একটি করে অতিরিক্ত থ্রি-টিয়ার কামরা দেওয়া হচ্ছে।