Railway Staff

মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা মত্ত রেলকর্মীর, দিল্লিগামী ট্রেনের বাতানুকূল কামরা থেকে গ্রেফতার

৭ বছরের মেয়েকে নিয়ে দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশে সুলতানপুর থেকে বাতানুকূল কামরায় ওঠেন ওই মহিলা। গভীর রাতে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন কোচ অ্যাটেন্ডেন্ট। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০২
Share:

বাতানুকূল কামরায় মহিলা যাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মত্ত রেলকর্মীর। — প্রতীকী ছবি।

দিল্লিগামী ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার মত্ত রেলকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে। পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। মহিলার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

Advertisement

আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে সুলতানপুর থেকে দিল্লিগামী সদ্ভাবনা এক্সপ্রেসে চেপেছিলেন ২৭ বছরের এক মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট্ট মেয়ে। বাতানুকূল সংরক্ষিত আসনেই বসেছিলেন তিনি। মহিলার অভিযোগ, রাত বাড়তেই এক ব্যক্তি এসে তাঁর সঙ্গে যেচে কথা বলতে চান। তিনি ওই ব্যক্তিকে এড়ানোর জন্য নিজের স্বামীকে ফোন করেন। গভীর রাতে আবার ফিরে আসেন ওই ব্যক্তি। মহিলা জানিয়েছেন, সেই সময় ট্রেনের কামরায় আলো জ্বলছিল না। তিনি মেয়ের পাশেই শুয়েছিলেন। তাঁদের কামরায় ছিলেন আরও ৭ জন। প্রত্যেকেই ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সুযোগ নিয়ে ওই ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় মহিলার গায়ে হাত দেন। মহিলা বাধা দিলে হাত চেপে ধরা হয়। হুটোপুটিতে পাশের আসনের এক সহযাত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। তার পর দু’জন মিলে ওই ব্যক্তিকে ঠেলে বার করে দেন সেখান থেকে। নিয়ে যাওয়া হয় টিটিইর কাছে। তখন জানা যায়, ওই ব্যক্তি সেই বাতানুকূল কামরার দায়িত্বে ছিলেন। পরিভাষায় নাম ‘কোচ অ্যাটেন্ডেন্ট’। রেলপুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

জিআরপির এসএইচও কৌশলেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘সুলতানপুর থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য ওই মহিলা সদ্ভাবনা এক্সপ্রেসের এ-ওয়ান কোচে উঠেছিলেন। অভিযুক্ত কোচ অ্যাটেন্ডেন্ট চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত একজন কর্মী। তিনি সেই সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন। মহিলার অভিযোগ পেয়ে আমরা ৩৫ বছরের অনিল কুমার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছি।’’

Advertisement

মহিলা বলেন, ‘‘রাত ২টো নাগাদ ওই ব্যক্তি কামরায় এসে আমার সঙ্গে অসভ্যতা করতে শুরু করেন। আমি বাধা দিলে হাত ধরে ফেলা হয়। সেই সময় সহযাত্রীর ঘুম ভেঙে যাওয়ায় আমরা দু’জন মিলে ওই ব্যক্তিতে ঠেলে সরিয়ে দিই। তার পর ছুটে আসি টিটিইর কাছে। সেখানেই জানতে পারি, ওই ব্যক্তির উপরেই আমাদের কামরা দেখভালের ভার দেওয়া ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement