গাঁধীনগরের সভা থেকে সোমবার গুজরাতের যুব সম্প্রদায়কে এবং কৃষকদের কাছে টানার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।
৩৪ বছরের শাসককে ঘায়েল হতে হয়েছিল ন্যানোর ধাক্কায়। বাংলার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের রাস্তায় মাইলফলক হয়ে উঠেছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। গুজরাতেও এ বার সেই সিঙ্গুরের ছায়া।
মোদীর রাজ্যে টানা ২২ বছর মসনদ থেকে দূরে কংগ্রেস। শাসক বিজেপিকে ধাক্কা দিতে, সিঙ্গুর থেকে সানন্দে যাওয়া সেই ন্যানোই ভোটমুখী গুজরাতে রাহুল গাঁধীর অন্যতম বড় হাতিয়ার হয়ে উঠল। ন্যানো প্রকল্পের জন্য শিল্পপতিদের পিছনে ৩৫ হাজার কোটি খরচ করেছে বিজেপি সরকার, কিন্তু কৃষকদের ঋণ তারা মকুব করতে পারেনি। গুজরাত সরকারের দিকে সোমবার এ ভাবেই তির ছুড়লেন রাহুল গাঁধী। বাংলার মতো গুজরাতেও মাথা তুলল কৃষি বনাম শিল্পের লড়াই।
আরও পড়ুন: মমতার ইস্তফা চেয়ে পথে বিজেপি, ঘেরাও স্বাস্থ্য ভবন
গাঁধীনগরে সোমবার কংগ্রেসের সুবিশাল সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন দলের সহ-সভাপতি। মোদীকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ন্যানোর জন্য ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা একটা কোম্পানিকে দেওয়া হল, ওই টাকায় গুজরাতের কৃষকদের ঋণ মকুব হয়ে যেত। কিন্তু কৃষকদের আর্তি আপনি শুনতে পেলেন না।’’ রাহুলের অভিযোগ, কৃষকের কাছ থেকে জমি কেড়ে নিয়ে গুজরাত সরকার তা শিল্পপতিদের হাতে তুলে দিয়েছে। রাহুলের প্রশ্ন, শিল্পপতিদের এত সুবিধা দিয়ে কী লাভ হয়েছে? কত জনের কর্মসংস্থান হয়েছে?
আরও পড়ুন: বসুন্ধরার অর্ডিন্যান্স হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে, ক্ষোভ দলেও
রাহুল গাঁধীর আশ্বাস, গুজরাতে কংগ্রেস সরকার গড়তে পারলে, তা হবে কৃষকের সরকার, যুব সম্প্রদায়ের সরকার। বিজেপি সরকার যুব সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থান করতে পারেনি, শিক্ষা ক্ষেত্রেও অনেক পিছিয়ে পড়েছে গুজরাত। দাবি রাহুলের। তবে শুধু গুজরাতের সরকারকে আক্রমণ করে থেমে থাকেননি রাহুল। জিএসটি প্রসঙ্গে ফের তীব্র আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রকে। গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নয়, ‘গব্বর সিং ট্যাক্স’ চালু হয়েছে দেশে— খোঁচা কংগ্রেস সহ-সভাপতির।