রাহুল গান্ধী। সঙ্গে তাঁর আগের এবং বর্তমান টুইটার (অধুনা এক্স) বায়ো। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সাড়ে চার মাসের মাথায় সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পর নিজের টুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডলের ‘বায়ো’ বা সংক্ষিপ্ত পরিচয় বদলে ফেললেন রাহুল গান্ধী। গত ২৪ মার্চ সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরও এই ‘বায়ো’ বদলে ফেলেছিলেন রাহুল। ‘অযোগ্য সাংসদ’ পরিচয়ের আগে সেখানে স্থান পেয়েছিল ‘কংগ্রেস নেতা’ হিসাবে তাঁর পরিচিতির দিকটি। সোমবার অবশ্য রাহুলের টুইটার বায়োতে লেখা ছিল ‘মেম্বার অফ পার্লামেন্ট’। অর্থাৎ, লোকসভার সদস্য।
গত মার্চ মাসে রাহুল যখন টুইটারের বায়ো বদলে ফেলেন, তখন সেখানে লেখা ছিল, “এটি রাহুল গান্ধীর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য।” এর পরেই নতুন শব্দবন্ধ জোড়ে অ্যাকাউন্টে। লেখা হয়, ‘ডিস্’কোয়ালিফায়েড এমপি’ (অযোগ্য সাংসদ)। আভিধানিক বানান ‘ডিস্কোয়ালিফায়েড’-এর বদলে রাহুল ডিস্’কোয়ালিফায়েড কেন লিখেছিলেন, তার ব্যাখ্যা অবশ্য পাওয়া যায়নি। মনে করা হয়, নিজের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে বিদ্রুপ করতে সচেতন ভাবেই ওই বানান লেখেন রাহুল। গত চার মাস ধরে ওই ‘বায়ো’ই জ্বলজ্বল করেছে তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে।
মোদী পদবি অবমাননা মামলায় রাহুলকে গত মার্চ মাসে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাতের আদালত। গত ৭ জুলাই রাহুলের সেই শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ওই সিদ্ধান্তের পরেই রাহুলের সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার রাস্তা সুগম হয়। সোমবার রাহুলকে তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। স্পিকারের সচিবালয় থেকে সকালে ওই বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়। দুপুর ১২টা নাগাদ সংসদে আসেন রাহুল। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় মঙ্গলবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন বিরোধীরা, সেই আলোচনাতে যোগ দিতে পারবেন রাহুল।