Rahul Gandhi

ওয়েনাডের বন্যা নিয়ে মোদীকে চিঠি রাহুলের

গত দু’দিন রাহুল ওয়েনাডে একাধিক ত্রাণ শিবিরে গিয়ে গৃহহীনদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ নয়াদিল্লি ফিরে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ওয়েনাডের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি এবং পশুপালন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কোঝিকোড় ও বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

বন্যাপীড়িতদের সঙ্গে কথা বলছেন রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাডের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। দু’দিনের ওয়েনাড সফর সেরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তিনি। রাহুল লিখেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে বহু জীবনহানি রোখা যাবে। দুর্গতেরা যেন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, সেই প্রযুক্তিও রাখা হোক। একই সঙ্গে, রাহুলের দাবি, জীবন-জীবিকা ও পরিবেশ রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য বিশেষ প্যাকেজ দিক কেন্দ্র।

Advertisement

গত দু’দিন রাহুল ওয়েনাডে একাধিক ত্রাণ শিবিরে গিয়ে গৃহহীনদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ নয়াদিল্লি ফিরে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ওয়েনাডের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি এবং পশুপালন। ওই এলাকায় জলাভূমি বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হত। জলাভূমির সংখ্যা কমছে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধান চাষে প্রবল ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও নির্বিচার বন ধ্বংস, ঝর্ণাগুলির বন্ধ হয়ে যাওয়া কেরল, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুর জীবন ও জীবিকার প্রভূত ক্ষতি করছে। পশ্চিমঘাট পর্বতে এখনও লাগাতার খননকার্য চলছে।

কেরলে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ওয়েনাড জেলা। টুইটারে রাহুল লিখেছেন, ‘‘যাঁদের প্রতিনিধিত্ব করি, তাঁদের জন্য শুধু গর্ব নিয়েই ওয়েনাড ছাড়ছি। যে সাহসিকতা এবং আত্মমর্যাদার সঙ্গে তাঁরা ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মোকাবিলা করেছেন, তা দেখে মাথা নত করতে হয়। আপনাদের সাংসদ হওয়া আমার কাছে গৌরব আর আনন্দের।’’ দুর্যোগে ওয়েনাডে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। সাত জন এখনও নিখোঁজ।

Advertisement

কেরলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিরুঅনন্তপুরমে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) ডিরেক্টর কে সন্তোষ বলেছেন, ‘‘বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়েছে। ফলে রাজ্যের একাধিক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।’’ আলাপ্পুঝা, এর্নাকুলাম এবং ইদুক্কি জেলায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, ‘‘বহু মানুষ গৃহহারা। ফসলের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধান চলছে।’’ কর্নাটকেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রাজ্যের উত্তর, উপকূলবর্তী এলাকা-সহ ১৭টি জেলা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত। আজ শিবমোগায় বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বহু জায়গা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। কর্নাটকে এখনও পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ১৬ জন। চার রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৫।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement