পি চিদম্বরম, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। —ফাইল চিত্র।
রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে কংগ্রেস ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে লড়বে না বলে জানালেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী জোট গ়ড়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুলকে তুলে ধরা হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। তবে কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, আপাতত বিজেপিকে সরানোই মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা পরে জোট শরিকেরাই আলোচনা করে স্থির করবেন। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের মুখেও।
এক চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিদম্বরম বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটে লড়ার কথা কংগ্রেস কখনওই বলেনি। কংগ্রেসের কয়েক জন সদস্য এ কথা বলার পরে এআইসিসি-র তরফে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়।’’ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘আমরা বিজেপিকে সরাতে চাই। ওদের বদলে এমন প্রগতিশীল সরকার গঠন করা প্রয়োজন যারা ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সম্মান করে। সেই সঙ্গে করের নামে সন্ত্রাস বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। মহিলা-শিশুদের নিরাপত্তা ও কৃষকদের উন্নতিও নয়া সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’
প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা জয়ের পরে জোট শরিকেরাই আলোচনা করে স্থির করবে বলে জানিয়েছেন চিদম্বরম। তাঁর দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আঞ্চলিক দলগুলিকে ভয় দেখাচ্ছেন। এ ভাবেই কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের জোটের সম্ভাবনা শেষ করতে চাইছে বিজেপি।’’ সম্প্রতি কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটে মায়াবতীকে জোটে শামিল করতে পারেনি কংগ্রেস। সিবিআইয়ের হাতে থাকা মামলার জুজু দেখিয়েই বিজেপি বিএসপি নেত্রীর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট রুখেছে বলে দাবি করেছিলেন বিরোধীদের একাংশ। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, বিরোধী জোট গড়া বন্ধ করতে বিজেপির কৌশলের মোকাবিলা করতেই সরব হয়েছেন চিদম্বরম। পাল্টা রণকৌশল হিসেবে কংগ্রেস বার বার বুঝিয়ে দিতে চাইছে, রাহুলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেয়ে বিজেপিকে সরানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেই লক্ষ্যে জোট গ়ড়া প্রয়োজন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কোনও নেতাকে তুলে ধরলে কোনও কোনও সম্ভাব্য জোট শরিক দূরে সরে যেতে পারে।
২১ অক্টোবর আর এক শীর্ষ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ জানান, কংগ্রেসের পক্ষে এখন একক ক্ষমতায় বিজেপিকে সরানো কঠিন। তাই জোট গড়তেই হবে। জোটের জন্য প্রয়োজনে কিছু আপস করতে রাজি আছে কংগ্রেস। কিন্তু বাকি বিরোধী দলগুলিকেও আপস করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জোটের লক্ষ্য হতে হবে বিজেপিকে সরানো, কংগ্রেসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা নয়।