ছবি: পিটিআই।
পাঁচ বছর পরে ‘স্যুট-বুট কি সরকার’ স্লোগান রাহুল গাঁধী অন্য চেহারায় ফিরিয়ে আনলেন।
পরিবেশ আইনে সংশোধন করে মোদী সরকার কোনও প্রকল্পের ছাড়পত্র পাওয়ার আগে পরিবেশের উপর প্রভাব খতিয়ে দেখার শর্ত লঘু করতে চাইছে বলে গত ক'দিন ধরেই সরব বিভিন্ন সংগঠন এবং পরিবেশবিদেরা। এই আইনি সংশোধনের খসড়া নিয়ে পরিবেশকর্মীদের বিস্তর আপত্তি রয়েছে। সেই বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর অতিপরিচিত ‘মিত্রোঁ’ সম্বোধনকে কটাক্ষ করে আজ রাহুলের অভিযোগ, মোদী সরকারের উদ্দেশ্য হল, দেশের লুট। আজ টুইট করে রাহুল বলেছেন, বিজেপি সরকার দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারী বাছাই করা স্যুট-বুটের ‘মিত্রোঁ’-দের জন্য কী কী করতে পারে, এ তার এক ভয়ঙ্কর উদাহরণ।
২০১৫-য় চাষিদের দুরবস্থার কথা বলতে গিয়ে মোদী সরকারকে ‘স্যুট-বুট কি সরকার’-এর তকমা দিয়েছিলেন রাহুল। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের নাম লেখা পিনস্ট্রাইপ গলাবন্ধ স্যুট গায়ে বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক করতে বসায় সেই স্লোগান অন্য মাত্রা পেয়েছিল। তখন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রধান অভিযোগ ছিল, কর্পোরেটদের সুবিধা করে দিতে জমি অধিগ্রহণ আইনের শর্ত শিথিল করা হচ্ছে।
এ বার কংগ্রেসের যুক্তি, কোনও প্রকল্পের ছাড়পত্র দেওয়ার আগে যদি পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির দিকটি খতিয়ে দেখতে ‘এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট’ না করা হয়, তা হলে কর্পোরেট সংস্থাগুলিই লাভবান হবে। তারা পরিবেশের কথা না ভেবেই জঙ্গল ধ্বংস করে খনি থেকে আকরিক তুলবে, কারখানা গড়বে। মোদী সরকার সেই সুযোগই করে দিচ্ছে।
রাহুলের কটাক্ষের জবাবে আজ পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের অভিযোগ, সরকার সবে মাত্র খসড়া প্রকাশ করেছে। হাজার হাজার মতামত আসছে। সব রকম মতামত বিবেচনা করা হবে। সাধারণত মতামত জানানোর জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে কোভিড অতিমারির জন্য ১৫০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। রাহুলের দাবি, এই খসড়াই প্রত্যাহার করা হোক। রবিবারই তিনি তরুণদের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামার ডাক দিয়েছিলেন। জাভড়করের অভিযোগ, “এখন যাঁরা প্রতিবাদের ডাক দিচ্ছেন, ক্ষমতায় থাকার সময় তাঁরাই আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত নিতেন।”