বন্যা দেখতে কেরলে রাহুল

শনিবার রাতে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক মিটে যাওয়ার পর রবিবারই দিল্লি থেকে কেরলের বিমান ধরেন কংগ্রেসের সদ্য-প্রাক্তন সভাপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৪
Share:

বন্যাপীড়িতদের সঙ্গে কথা বলছেন কেরলে রাহুল। ছবি: এএফপি।

অমেঠী-র হার থেকে শিক্ষা!

Advertisement

কারণ যা-ই হোক, রাহুল গাঁধী এ বার নিজের নতুন লোকসভা কেন্দ্র ওয়েনাডে বিশেষ নজর দিতে চাইছেন।

শনিবার রাতে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক মিটে যাওয়ার পর রবিবারই দিল্লি থেকে কেরলের বিমান ধরেন কংগ্রেসের সদ্য-প্রাক্তন সভাপতি। বন্যা কবলিত কেরলের যে সব জেলার অবস্থা সবথেকে খারাপ, তার মধ্যে ওয়েনাড অন্যতম। সোমবার বেশ কিছু ত্রাণ শিবিরে যাওয়ার কথা রাহুলের। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মলপ্পুরমের জেলাশাসকের দফতরে পর্যালোচনা বৈঠকেও তাঁর যোগ দেওয়ার কথা। কেরলে যাওয়ার আগেই রাহুল ওয়েনাড, মলপ্পুরম এবং কোঝিকোড়ের জেলাশাসকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তাঁরা রাহুলকে বলেন, এখনই তিনি গেলে ত্রাণের কাজে অসুবিধা হবে। তাই দিল্লি থেকেই ফোনে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও কথা বলে ওয়ানাডের পরিস্থিতি জানিয়ে তাঁর কাছে সাহায্য চাইবেন বলে জানিয়েছিলেন রাহুল। তবে মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

লোকসভা ভোটে নিজের পুরনো কেন্দ্র অমেঠীর পাশাপাশি ওয়েনাড থেকেও প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল। তখনই বিজেপি নেতারা বলেছিলেন, অমেঠীতে হার নিশ্চিত বুঝেই রাহুল গাঁধীকে অন্য কেন্দ্র খুঁজতে হচ্ছে। বিজেপির কথাই সত্যি হয়েছে। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে স্মৃতি ইরানি অমেঠীতে রাহুলের কাছে হেরে গেলেও গত পাঁচ বছর সেখানে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। বারবার এমন ভাবে অমেঠীতে গিয়েছেন, যেন রাহুল নন, তিনিই সাংসদ। তারই সুফল পেয়েছেন স্মৃতি। লোকসভা ভোটে হারের পর অবশ্য দেরিতে হলেও অমেঠিতে যান রাহুল। এ বার ওয়েনাডে যে তিনি বাড়তি নজর দিতে চান, তা তাঁর কাজ থেকেই স্পষ্ট। রাহুল কংগ্রেসের নেতা, কর্মী, অসরকারি সংস্থাগুলির কাছেও ওয়েনাডের জন্য সাহায্য চেয়েছেন।

আজ রাহুল কেরল রওনা হওয়ার আগে টুইট করে জানান, ‘‘আগামী কয়েক দিন আমি আমার লোকসভা কেন্দ্র ওয়েনাডে থাকব। ওয়েনাড বন্যায় ভেসে গিয়েছে। আমি ত্রাণ শিবিরে যাব। রাজ্য ও জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে ত্রাণ নিয়ে আলোচনা করব।’’ আজ কোঝিকোড়ে পৌঁছনোর পরে ভুতানামে চলে যান তিনি। সেখানে বন্যার জেরে ধস নামার ফলে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন।

কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে দলের মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল অভিযোগ তুলেছেন, বন্যায় রাজ্যগুলিকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করছে বিজেপি। গত বছর বন্যায় কেরলে ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি
সত্ত্বেও কেন্দ্র মাত্র ৩ হাজার কোটি টাকা সাহায্য করেছে। অথচ উত্তরপ্রদেশে কোনও বন্যা না হলেও যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে এই খাতে ২০০ কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement