একই সঙ্গে অমর, আকবর আর অ্যান্টনির হাত ধরতে চাইছেন রাহুল গাঁধী। তাই ভোটমুখী কর্নাটকে গিয়ে আজ একই দিনে তিনি পা রাখলেন মন্দির, দরগা আর গির্জায়।
কর্নাটকে আজ ছিল রাহুলের তৃতীয় দফার সফর। রাজ্যের দক্ষিণের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এবং মালনাড অঞ্চলে বেশ কিছু জনসভায় দিনভর নরেন্দ্র মোদী সরকারের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। একটি সভায় তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি ধর্মের কথা বলে। অথচ যে কোনও জায়গাতেই মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে তাদের জুড়ি নেই।’’ মোদীর দলকে এ ভাবে নিশানা করেই সন্ধেয় রাহুল প্রথমে পৌঁছন ম্যাঙ্গালুরুর রোসারিও গির্জায়। সেখানে কিছু ক্ষণ কাটানোর পরেই যান গোকর্ণনাথেশ্বর মন্দিরে। তার পরে পৌঁছন শহরেরই উল্লাল দরগায়। অনেকেই বলছেন, ভোটের আগে সব ধর্মের মানুষকে পাশে পেতেই ধর্মস্থানে পা রাখছেন রাহুল।
ধর্মের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মূর্তি ভাঙার ব্যাপারেও আজ বিজেপি-সঙ্ঘকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। তামিলনাড়ুর পুদুকোট্টাই জেলায় পেরিয়ারের মূর্তি ভাঙা হয়েছে আজ। কর্নাটক সফরের মধ্যেই তা নিয়ে টুইটারে সরব হন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ত্রিপুরাতে লেনিনের মুর্তি ভাঙতে উৎসাহ দিয়েছে সঙ্ঘ-বিজেপি। তাঁরা তাঁদের কর্মীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে আদর্শে মিলবে না, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। দলিতদের জন্য কাজ করে যাওয়া পেরিয়ার সেই তালিকাতেই রয়েছেন। আজ তামিলনাড়ুতে তাঁর মূর্তিও ভাঙা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: লিঙ্গায়ত-অঙ্কেই কর্নাটকে এ বার বেকায়দায় বিজেপি
কর্নাটকে ভোটের প্রচারে রাহুলের আক্রমণের কেন্দ্রে ছিলেন মোদী। একটি সভায় তিনি বলেন, ‘‘ভারতের ১০-১৫ জন ধনী ব্যক্তি দেশের মানুষের ৮ লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে গিয়েছেন। আর গত কয়েক বছরে বিজেপি সরকার ১৫ জন ধনী লোকের আড়াই লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছে। অথচ যখন কোনও চাষি ঋণ চান, নরেন্দ্র মোদী আর অরুণ জেটলি বলেন, এটা আমাদের নীতি নয়!’’ ভারতের উন্নতির জন্য নিজের কৃতিত্ব দাবি করে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে অপমান করছেন বলেই অভিযোগ এনেছেন রাহুল।