rahul gandhi

এ বার চিন নিয়ে রাহুলের খোঁচা আরএসএসকে

রাহুল গাঁধী দ্রুত টুইট করে বলেছেন যে, ‘‘আরএসএস প্রধানের ভাল করেই জানা আছে যে চিন ভারতীয় ভূখণ্ডের দখল নিয়ে বসে রয়েছে। কিন্তু ভয়ের চোটে সেই সত্যেরমোকাবিলা করতে পারছেন না।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২০ ০২:০৩
Share:

রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।

চিন নীতি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। এ বার সরাসরি আরএসএস প্রধান তাঁর নিশানায়। বিজয়া দশমী উপলক্ষে দেওয়া তাঁর বক্তৃতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত চিন প্রসঙ্গ তুলে আজ বলেছেন, ‘‘চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ভারতকে সব দিক থেকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।’’ এর পরে রাহুল গাঁধী দ্রুত টুইট করে বলেছেন যে, ‘‘আরএসএস প্রধানের ভাল করেই জানা আছে যে চিন ভারতীয় ভূখণ্ডের দখল নিয়ে বসে রয়েছে। কিন্তু ভয়ের চোটে সেই সত্যেরমোকাবিলা করতে পারছেন না।’’

Advertisement

বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে চিনকেই মূল নিশানা করে বক্তব্য রেখেছেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। রবিবার নাগপুরে সঙ্ঘের সদর দফতরে বার্ষিক দশেরা অনুষ্ঠানে ভাগবত আগাগোড়া চিনের সমালোচনা করার পাশাপাশি সামরিক, আর্থিক-সহ সব ক্ষেত্রেই চিনকে ছাপিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। সেই সঙ্গেই সিএএ নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে ওই আইনকে সমর্থন করেন।

মোহন ভাগবতের কথায়, “চিন একটি সম্প্রসারণবাদী দেশ। সরকারের উচিত অবিলম্বে চিনের বিরুদ্ধে নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং অন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে জোট গড়া। তাঁর কথায়, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। সেটা আমাদের চরিত্র। কিন্তু আমাদের এই উদারতাকে দুর্বলতা ভাবা এবং আমাদের আক্রমণ করাকে মেনে নেওয়া যায় না।“

Advertisement

আরও পড়ুন: বিজয়ার বার্তায় তরজারই সুর

এরপরই টুইট করেন রাহুল। বলেন, “ভাগবতজি মনের গভীরে সারসত্যটা জানেন। কিন্তু সেটার মুখোমুখি হতে ভয় পান কেবল। সত্য হল, চিন আমাদের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে। আমাদের সরকার এবং আরএসএস সেটা মেনে নিচ্ছে।“
করোনা আবহে এ বার সঙ্ঘের সদর দফতরের অডিটোরিয়ামে বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে করোনাবিধি মেনে ৫০ জন আরএসএস কর্মীর সামনে বক্তব্য রাখেন ভাগবত। সেখানে চিনকে নিশানা করে ভাগবত বলেন, ‘‘এই অতিমারির আবহেও চিনের আগ্রাসী ভূমিকা গোটা দুনিয়া দেখেছে। চিন আমাদের ভূখণ্ড দখল করার চেষ্টা করছে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘সামরিক প্রস্তুতি, আর্থিক পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা— সব ক্ষেত্রেই চিনের থেকে আমাদের বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে। তা হলেই চিনকে ঠেকানো যাবে।’’

আরও পড়ুন: নীতীশকে পাল্টা খোঁচা তেজস্বীর

গত বেশ কয়েক মাস ধরে লাদাখের বিস্তীর্ণ অংশে ঢুকে পড়ে স্থায়ী শিবির তৈরি করে ফেলেছে চিনা সেনা। গত জুনে লাদাখের গলওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষও বাধে। গলওয়ান সংঘর্ষের কথা বারবার উল্লেখ করলেও প্রকাশ্যে আজ পর্যন্ত চিনের নাম করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা কম কটাক্ষ করেননি। এ দিনও ভাগবতের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে মোদী সরকার ও সঙ্ঘকে নিশানা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তিনি বলেন, ‘‘চিনা আগ্রাসনের সত্যিটা ভিতরে ভিতরে জানেন ভাগবতও। কিন্তু তা স্বীকার করতে উনি ভয় পাচ্ছেন! সত্যিটা হল, চিন আমাদের ভূখণ্ড দখল করেছে এবং ভারত সরকার ও আরএসএস তা মেনেও নিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement