ছবি: পিটিআই
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোমবার টানা ৯ ঘণ্টা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’ জেরা করেছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকে। মঙ্গলবার আবার তাঁকে তলব করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তবে তার আগে, সোমবারের ঘটনাপ্রবাহ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন হয়েছে আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। তবে শুধু কংগ্রেসের সদর দফতরই নয়, ২ কিলোমিটার দূরে ইডি অফিসও কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রাহুল গাঁধীর বাসভবনে ঢুকতে দেখা যায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। রাহুল কখন বাড়ি থেকে বেরোবেন, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, ইডির জেরাকে রাজনৈতিক ‘প্রতিহিংসা’ হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া কংগ্রেস। সোমবার রাহুল বাড়ি থেকে ইডি অফিসের দিকে পা বাড়াতেই রাজধানী-সহ গোটা দেশে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। গ্রেফতারিও বরণ করেন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আকবর রোডের সদর দফতরে হাজির হওয়ার কথা দলীয় নেতাদের। রাহুলকে ঘিরে প্রতীকী মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করার কথা। হায়দরাবাদে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে কংগ্রেস সেখানকার ইডি দফতর ঘেরাও করবে। গোটা দেশেই এমন একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতারা আকবর রোডে আসতে শুরু করেছেন। সাংসদ মানিকরাম ঠাকুরের অভিযোগ, তাঁকে আকবর রোডের দফতরে ঢুকতে বাধা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
ইডি সূত্রে খবর, সোমবার ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরায় বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা যায়নি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। মূলত সেই প্রশ্নগুলোই তাঁরা মঙ্গলবার রাহুলকে জিজ্ঞেস করতে চান।