রাহুল গাঁধী।—ছবি পিটিআই।
নয়া নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমন করতে কঠোর পুলিশি পদক্ষেপকে হাতিয়ার করতে চাইছে কংগ্রেস। গা ঝাড়া দিয়ে উঠে তাই শনিবার কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাহুল গাঁধী যাচ্ছেন অসমে। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা পৌঁছবেন লখনউয়ে।
২৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস। রাহুল সে দিন সিএএ-এনআরসি-র প্রতিবাদে গুয়াহাটি কংগ্রেসের জনসভায় যোগ দেবেন বলে আগেই ঠিক ছিল। আজ কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছে, ওই দিন প্রিয়ঙ্কা থাকবেন লখনউয়ে। কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা এখনও নেই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমন করতে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের বিরুদ্ধে নির্মম আচরণের অভিযোগ উঠেছে। কী ভাবে যোগী সরকারের মোকাবিলা করা যায়, তা আলোচনা করতে শনিবার সকালে লখনউয়ে কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের পর, দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদ ও স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের বৈঠক ডেকেছেন প্রিয়ঙ্কা। বিকেলে বৈঠক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির।
অসমের প্রতিবাদ সভায় যোগ দেওয়ার আগে রাহুল আজ নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। গত রবিবার রামলীলা ময়দানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, দেশে কোনও ‘ডিটেনশন সেন্টার’ নেই। আজ টুইটারে অসমের ডিটেনশন সেন্টারের ছবি তুলে ধরে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী ভারত মাতাকে মিথ্যে বলেন।’’
পাল্টা আক্রমণে নেমেছে বিজেপিও। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র রাহুলকে ‘মিথ্যেবাদীদের সর্দার’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, অসমে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হয়েছিল কংগ্রেস আমলেই। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের মন্তব্য, ‘‘রাহুল তো প্রায়ই বিদেশে যান। একবার উনি ভিসার মেয়াদের বাইরে বিদেশে থেকে দেখুন, কী ভাবে তাঁকে ফেরত পাঠানোর আগে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়। তা হলেই বুঝে যাবেন, অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশ কী আচরণ করে।’’
কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আটকাতে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির পুলিশ কঠোর নীতি নিচ্ছে। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কংগ্রেস তাই বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে রাস্তায় নামবে। মহারাষ্ট্র সরকারে শরিক কংগ্রেস। মুম্বইয়ে ‘সংবিধান রক্ষা করো’-র ডাক দিয়ে ফ্ল্যাগ মার্চ হবে।